নজরবন্দি ব্যুরো: ক্রমশ ঘনাচ্ছে কসবায় ছাত্রমৃত্যুর রহস্য! একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে এই মৃত্যুর ঘটনায়, এর আগে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে! তারপরেই চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের বিচারপতি রহস্য-মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে কলকাতার নগরপালকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে রাজপথে চলবে বাড়তি বাস, নয়া উদ্যোগ রাজ্য পরিবহণ নিগমের
এরপরেই হাইকোর্টের সেই নির্দেশের তিন দিনের মধ্যেই ওই ঘটনার তদন্তভার থানার হাত থেকে তুলে দেওয়া হল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার হাতে। জানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে মেনেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারী অফিসার কসবা থানায় গিয়ে মামলার কেস ডায়েরি সংগ্রহ করেছেন। একইসঙ্গে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে পিজি-র মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে। সেই রিপোর্ট আগামী ৬ অক্টোবর আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, মামলাকারীরা আদালতে অভিযোগ করে জানান যে, পুলিশ ৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনার সময়ের স্কুলের সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পরিবারকে দিচ্ছে না। তাই দ্বিতীয় ময়না তদন্ত ও নতুন করে ইনকোয়েস্ট করার আবেদন জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আর মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তের নজরদারি করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিচারপতি আরও জানান, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে। এছাড়াও সিসিটিভি ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের কপি এখনই পরিবারকে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি আদালতে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার কসবা রথতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি স্কুল স্কুল চলাকালীন স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে যায় দশম শ্রেণির এক ছাত্র। এরপরেই তড়িঘড়ি করে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কিভাবে ওই ছাত্র পড়ে গেল? কিভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রের? একাধিক প্রশ্ন উঠছে!
রীতিমত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য! যদিওবা এই ঘটনায় ছাত্রের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলের উপর প্রথম থেকেই একাধিক কারণে ক্ষোভ ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের। একটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রের। দিতে পারেনি বলে ওকে খুব বকাবকি করা হয়েছিল। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। আর এতেই খুব অপমানিত বোধ করেছিল। শিক্ষক ওর উপর মানসিক চাপ দিতেন মৃত ছাত্রের বাবার দাবি, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।