অ্যালকেমিস্ট তদন্তে ১৫ জনকে তলব ইডি-র

নজরবন্দি ব্যুরোঃ প্রাক্তন তৃণমুল সাংসদ কেডি সিংয়ের গ্রেফতারিতে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর তার মধ্যেই ইডি জানাল, অ্যালকেমিস্ট তদন্তে এই মুহূর্তে ১৫ জনকে তলব করতে চলেছে তাঁরা। শনিবার কেডি সিংকে আদালতে পেশ করে একথা জানায় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির সওয়াল শুনে আরও ৯ দিন কেডি সিংয়ের হেফাজত পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুনঃ ‘গুজরাট মডেল’ এর পাল্টা ‘বাংলা মডেল’! বাংলা এগিয়ে, দাবি ডেরেকের
এদিন ইডি আদালতে জানায়, অ্যালকেমিস্টের টাকা কোথায় কী ভাবে পাচার হয়েছে তা জানতে ১৫ জনকে জেরার প্রয়োজন। আর তাঁর মধ্যেই রয়েছেন সংস্থার কর্মী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে তার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক নেতার নাম রয়েছে কি না তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। অ্যালকেমিস্ট কান্ডে গত ১৩ জানুয়ারি কেডি সিংকে গ্রেফতার করে ইডি। আর এরপরই তাঁর গ্রেফতারির পর দিল্লির আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজত চান গোয়েন্দারা। কিন্তু মাত্র ৩ দিনের হেফাজত মেলে। এদিনও ১১ দিনের হেফাজত চেয়ে মিলেছে ৯ দিন।
কেডি সিংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে রাজ্যে। তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে তাদের নেতাদের ভয় দেখাতে ফের চিটফান্ড তদন্তে গতি এনেছে কেন্দ্র। সিপিএম-কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া করে এতদিন কেডি সিংকে গ্রেফতার করেনি ইডি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তদন্ত ঠিকভাবেই এগচ্ছে।
উল্লেখ্য, নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল এর আগে দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংহ-র টাকাতেই তিনি নারদের স্টিং অপারেশনগুলি চালিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সেই স্টিং অপারেশনে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা কে, কীভাবে দিয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি। এছাড়াও, এখানে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে।
তৃণমূল সাংসদ থাকাকালীনই কে ডি সিং কেন দলের নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করলেন? নারদ স্টিংয়ে টাকা ঢালার পিছনে তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? কাকেই বা সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছিলেন তিনি? এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল কিনা? এসব নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাতে ১৫ জনের নাম উঠে আসে। আর সেই ১৫ জনকেই তলব করেছে ইডি।