নজরবন্দি ব্যুরো: ধূপগুড়ি বিধানসভাকেন্দ্রের নির্বাচনে জয়লাভ করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির আসন ছিনিয়ে নির্বাচিত বিধায়ক হয়েছেন অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়। এখনও তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বাকি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আরও একবার রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত নয়া রূপ পেতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ সিভি আনন্দ বোস তৃণমূল বিধায়কের শপথ পাঠ করাতে চান রাজভবনে।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে তৈরি হবে বিশ্বমানের শপিং মল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সবুজ সংকেত দিল সংস্থা
সূত্রে খবর, বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়কে ইতিমধ্যেই শপথ গ্রহণের জন্য রাজভবনের তরফে ফোন করা হয়েছিল। সাধারণত, বিধায়কদের শপথের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল বিধানসভার স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেন। রাজ্যপাল নিজেও শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারেন। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানটি হয় বিধানসভায়। তবে এবার রাজ্যপাল নাকি চাইছেন জয়ী তৃণমূল সদস্যের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হোক রাজভবনে। বলে রাখা ভাল, এর আগে কখনও এমন ঘটনা দেখা যায়নি। আর রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করছে না তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়ের কথায়, পরিষদীয় ব্যবস্থাকে এড়িয়ে সরাসরি বিধায়ককে ফোন করা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল দৃষ্টান্ত নয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর ফলপ্রকাশ হয়। জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। জানা যায়, উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই নতুন বিধায়কের শপথ সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠায় রাজ্য সরকার। তবে অভিযোগ ওঠে, সেই ফাইল রাজভবনেই পড়ে ছিল। রাজ্যপালের তরফে কোনও জবাব পাওয়া যাচ্ছিল না। দু সপ্তাহ কেটে গেলেও শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজভবনের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করে শাসক শিবির।
উল্লেখ্য, সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হিসেবে বাংলায় আসার পর প্রথম দিকে রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল। কিন্তু ক্রমেই তা তিক্ততার দিকে গড়ায়। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়। পঞ্চায়েত ভোট হিংসায় সেই সংঘাত আরও চরম রূপ নেয়। শাসক দলকে আক্রমণ শানান রাজ্যপাল। পাল্টা উত্তর দিতে পিছু পা হয়নি রাজ্যও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম না করে একাধিকবার সিভি আনন্দ বোসকে নিশানায় এনেছেন। এরপর উপাচার্য নিয়োগ ঘিরেও দুপক্ষের সংঘাত চোখে পড়ে।
নির্মলের শপথগ্রহণ রাজভবনে! রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে নয়া সংঘাত রাজ্যে
