নজরবন্দি ব্যুরোঃ কোভিড চিকিৎসায় রাজ্যের প্যাকেজ; চোখ কপালে উঠবে গরিব-মধ্যবিত্তের। রাজ্যজুড়ে দাপটের সাথে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একাধিক ব্যাবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তুলেছে সরকার। সরকার অধিগৃহিত কোভিড হাসপাতালের খরচ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে প্যাকেজ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কারন গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে লাগামহীন বিল ধরাচ্ছিল রোগীর পরিবারের হাতে।
আরও পড়ুনঃ আইসিইউতে ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল, অবশেষে মৃত্যু তৃণমূল নেতার
কোভিড চিকিৎসায় রাজ্যের প্যাকেজ; চোখ কপালে উঠবে সাধারণের। রাজ্যসরকার যে প্যাকেজ করেছে তা একেবারেই যে নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তের জন্যে নয় তা প্যাকেজের বহর দেখেই বোঝা যাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আসুন দেখে নেওয়া যাক রাজ্যসরকার অধিগৃহীত কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে কেমন প্যাকেজ সাজিয়েছে সরকার।অধিগৃহীত কোভিড হাসপাতালের ক্ষেত্রে আইসিইউ তে প্রথম দিন রেট ২২ হাজার ২০০ টাকা। প্রথমদিন বাদে বাকি দিন গুলোর জন্যে ১৪ হাজার ২০০ টাকা প্রতিদিন। রাজ্য সরকার জানিয়েছে সর্বোচ্চ ১৩ দিন রোগীরা এই কম প্যাকেজের সুবিধা পাবেন!
অন্যদিকে আইশোলেশন বেডের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের চার্জ ২১ হাজার ৬০০ টাকা। অন্য দিনের ক্ষেত্রে সেটা হবে ১৩ হাজার ৬০০ টাকা। এক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ১৩ দিন রোগীরা এই কম প্যাকেজের সুবিধা পাবেন। প্যাকেজের মধ্যে থাকবে, ভেন্টিলেটর, চিকিৎসকের ফি, ল্যাব পরীক্ষা, ওষুধের খরচ। এই প্যাকেজের মধ্যে পিপিই কিট, কোভিড টেস্ট এবং অ্যাম্বুলেন্স এর খরচ ধরা নেই। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত কিন্তু শরীরে অন্য রোগ আছে সেই সব রোগীরা সব সুবিধা পাবেন না বলে জানিয়েছে সরকার।
কো মর্বিডিটির ক্ষেত্রে প্যাকেজ পরিবর্তন করতে পারবে হাসপাতাল। অন্যদিকে পরীক্ষা, অ্যাম্বুলেন্স এবং পিপিইর জন্যেও রেট বেঁধে দিয়েছে রাজ্য। কোভিড টেস্টের খরচ ২ হাজার ২৫০ টাকা। অন্য পরীক্ষার চার্য ২০০০ টাকার বেশি হলে হাসপাতাল কর্তিপক্ষ রোগীর পরিবার কে জানাতে বাধ্য হবে। অ্যাম্বুলেন্স চার্য প্রতিকিমি ১৫ টাকা। চিকিৎসকের ফি বাবদ দিন পিছু ১০০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবেনা বলেও জানিয়েছে রাজ্য।
পাশাপাশি রাজ্য সরকার জানিয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি নেওয়ার সময় পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। কেউ টাকা সাথে সাথে দিতে না পারলেও ১২ ঘন্টা পরিষেবা দিতে হবে। তাও যদি রোগীর পরিবার টাকা না দেয় তাহলে আগামী ১ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতাল ওই রোগীকে ছেড়ে দিতে পারে।