'শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা', শনিবার নবজোয়ার কর্মসূচি স্থগিত রাখলেন অভিষেক

নজরবন্দি ব্যুরো: এক ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল দেশ। এক রাতের মধ্যেই বলি হল শত শত প্রাণ। মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে ওড়িশার বালেশ্বর। মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২৬১। আহত হাজার ছুঁই ছুঁই। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রাতেই বালেশ্বর চলে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এবার এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আজকের জন্য নবজোয়ার কর্মসূচি স্থগিত রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: একলাইনে ৩ ট্রেন কীভাবে? যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি গাফিলতি? উঠছে একাধিক প্রশ্ন

‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে দুমাস জেলায় জেলায় ঘুরবেন অভিষেক। সূত্রে খবর, শনিবার (৩ জুন) হাওড়ার বাগনানে লাইব্রেরি মোড় থেকে খালো কালীবাড়ি পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। কালীবাড়িতে পুজো দেন এবং ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করেন। এদিনই শ্যামপুরে বড় জনসভা হওয়ার কথাছিল, রাতেও তাঁর একটি কর্মসূচি ছিল। কিন্তু আজকের জন্য যাবতীয় কর্মসূচি স্থগিত রাখলেন অভিষেক। রবিবার ডোমজুড়ে নবজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তবে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই কর্মসূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

'শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা', শোকজ্ঞাপন অভিষেকের 

শুক্রবার রাতে হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। করমণ্ডলের ২১ টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং হামসফর এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনা গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। আজ সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ইতিমধ্যেই বালেশ্বর পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও বালেশ্বরে যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

'শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা', শোকজ্ঞাপন অভিষেকের 
‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা’, শোকজ্ঞাপন অভিষেকের 

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এই দুর্ঘটনাটিকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা’ হিসেবেও আখ্যা দেন। রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “আমি তিন বছর রেলমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু এখন মনে হয় রেলে নিজেদের মধ্যে কোনও কো-অর্ডিনেশন নেই। কীভাবে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটল তার ভাল করে তদন্ত হোক।” এছাড়া, করমণ্ডল বিপর্যয় মৃত যাত্রীদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন। তাঁর আরও অভিযোগ, “ট্রেনের অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না। তাই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।”

‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা’, শোকজ্ঞাপন অভিষেকের 

'শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা', শোকজ্ঞাপন অভিষেকের 
‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা’, শোকজ্ঞাপন অভিষেকের