নজরবন্দি ব্যুরোঃ একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সংঘাত। এরই মাঝে বিস্ফোরণ নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ তথা পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক সৌগত রায়। তাঁর দাবি, ‘তীব্র গরম পড়েছে। এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড বাইরে রাখলে তা বিস্ফোরণ হতেই পারে।’
আরও পড়ুনঃ সাংসদ হিসেবে ৪ বছর পুর্তি, বালুরঘাটবাসীকে বড় উপহার দিলেন সুকান্ত
এদিকে, প্রবীণ সাংসদের এহেন মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষের কথায়, ‘প্রাক্তন অধ্যাপকের মাধ্যমে বোমার ফর্মুলা সবার কাছে ছড়িয়ে গেল। যদি অধ্যাপক সম্বোধন এখন আর ওঁর সঙ্গে যায় না। রোদ বা গরমে শুধু বোমাই ফাটে না, কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্য হারান।’ পাশাপাশি, রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে কীভাবে তিনি পুলিশকে ক্লিনচিট দিতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে এক বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই ঘটনায়। সপ্তাহ ঘোরেনি। ২১ মে আবারও বাজি-বিস্ফোরণ। কোথা থেকে এত বাজি আসছে, আদৌ এগুলির বৈধতা আছে? বাজি কারখানাগুলিই বা কোন নিয়মে চলছে? সবটা খতিয়ে দেখতে নবান্ন একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়েছে সোমবার। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সেই কমিটিতে থাকছে এমএসএমই, পঞ্চায়েত, দমকল, পুরদফতর, স্বরাষ্ট্র দফতরের সদস্য।

অন্যদিকে, আজ ভাঙড়ে বিস্ফোরন ঘটে বাড়ির দেওয়াল উড়ে গেছে তৃণমূল কর্মীর। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পাশাপশি রবিবার সন্ধ্যায় অবৈধ বাজি মজুদ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের (Budge Budge) চিংড়িপোতা গ্রামে। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। ঘটনার পরেই রবিবার রাতভর ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তরফে অভিযান চালানো হয় এলাকায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫৫ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এলাকা থেকে। অভিযান চলছে পুলিশের তরফে।
‘তীব্র গরমে হতেই পারে’, পরপর বিস্ফোরণ নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিলেন সৌগত!
পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল ও প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে সাংসদ সৌগত রায়ের ব্যাখ্যা আরও বিড়ম্বনায় পড়ল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তা বলাই বাহুল্য। মজার কথা, সৌগত আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের আরও ৩৮ হাজার গ্রামে কোথায় কোথায় বোমা রয়েছে, এটা পুলিশের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। প্রশ্ন উঠছে তাহলে পুলিশের কাজ কি?