নজরবন্দি ব্যুরো: শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির তিহাড় জেলে গিয়েছেন তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি দোলা সেন এবং অসিত মাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁদের এই তিহাড় যাত্রা বলে জানা গিয়েছে। দুজনে তৃণমূল নেতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে তাঁদের। অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলগুলির কথায়, জেলে থেকেও অনুব্রত মণ্ডল এখনও ভাগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তাই তৃণমূলের এই তিহাড় যাত্রা।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal-কে দেখতে তিহাড়ে ‘দিদির দূত’, কেষ্টর পাশে থাকার বার্তা দলের
গরু পাচারকাণ্ডে গত বছর গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে বন্দী। যদিও এখনও তৃণমূলের পদে বহাল রয়েছেন তিনি। দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও অনুব্রতকে ‘বীর’ বলে সম্বোধন করেছেন। এবার দলের দুই সাংসদ তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, “অনুব্রত তো বীর। দোলা সেনরা ২৫ বছর ধরে ভাগ পেয়েছেন অনেক, ফলে তিহাড় জেলে গিয়েও দেখা করেছেন।” নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত দলের হেভিওয়েট নেতারাও। কিন্তু এঁদের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখেছে বাংলার শাসক দল। এনিয়েই বাম নেতার প্রশ্ন, “মানিক এমএলএ, তিনি তো দলেই আছেন, তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে নয় কেন? এখন দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলেই?”

বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল এখনও দলের জেলা সভাপতি। দলের অনুমোদন নিয়েই সব করেছেন। গরু, কয়লায় নিজের প্রভাব বিস্তার করেছেন। তৃণমূলের যেটা সবথেকে বড় অ্যাজেন্ডা ছিল বিরোধী শূন্য করে দেওয়া তাও দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছেন। তাই তিনি তৃণমূলের কাছে মূল্যবান।” এই কারণেই গ্রেফতারির পরও তৃণমূলের প্রতিনিধি হয়ে দুজন তিহাড় জেলে দেখা করতে গিয়েছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

শুক্রবার তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সকাল ১১ টা নাগাদ জেলে যান রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তৃণমূল যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই আছে একথাও বুঝিয়ে দেন তাঁরা। কয়েকদিন আগেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় এবং মামলার শুনানি পিছিয়ে যায় জুলাই অবধি। তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে ঠাই হয়েছে তিহাড়েই।
দলকে এখনও ভাগ দেওয়ার ক্ষমতা আছে অনুব্রতর! কি বলছে বিরোধীরা
