নজরবন্দি ব্যুরোঃ ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৬। ওই ৬ জনের মৃতের দেহ উদ্ধার করা গেছে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলা শাসক। তবে এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরার মধ্যে বেশ কয়েকজনের দেহ আটকে থাকতে পারে তিনি জানান।পাশাপাশি ২৫ থেকে ২৬ জনকে আহত অবস্থ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুনঃ ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু, উপস্থিত হচ্ছে ৫১ টি অ্যাম্বুলেন্স
মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ্য টাকার অনুদান ঘোষণা রেলের। আহতরা পাবেন ১ লক্ষ্য টাকা করে। ঘটনায় শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের। লাইনে ফাটলের কারণেই কী দুর্ঘটনা? ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
Situation being closely monitored from the State HQs.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 13, 2022
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৫১ টি অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ ঘটে ঘটনা। কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীরা আতঙ্কিত, দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। ১২ টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত। উদ্ধারে নেমেছে সাধারণ মানুষ। ঘুরপথে একাধিক ট্রেন।
হেল্পলাইন নম্বর-৮১৩৪০৫৪৯৯। উদ্ধার করা গিয়েছে দু’টি দেহ। ১০-১২ জন হাসপাতালে ভর্তি। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। গ্যাস কাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে উদ্ধাররে চেষ্টা চলছে যাত্রীদের। জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যেই ৫১ টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকদের আনা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সমস্ত হাসপাতালগুলিকে। গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
Sad to hear Bikaner Guwahati express derailed near Jalpaiguri with reports of deaths and casualties.
Gathered that all agencies @RailMinIndia @RailNf @MamataOfficial are rendering full assistance and rescue operations are on and injured are being well attended.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 13, 2022
ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বহু বগি। পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী দল। আরও পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী দল। রাতের অন্ধকারে কীভাবে হবে উদ্ধারের কাজ উদ্যোগ নিল রেল। রেলের তরফ থেকে উদ্ধারের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানাল রেল।
ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৬, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

কিন্তু নানা সংবাদমাধ্যমে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেন ও কামরাগুলির যে ছবি ফুটে উঠছে তাতে করে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন আদৌ ট্রেনটির গতি ঘন্টায় ৯০কিমির কম ছিল কিনা। কেননা ওই গতি বা তার বেশি গতিতে চলতে থাকা ট্রেন দুর্ঘটনার মুখে পড়লে তবেই কামরা ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।