নজরবন্দি ব্যুরোঃ সময় শেষ। রবিবার টেট পরীক্ষা শেষ হয়েছে। চাকরি নিশ্চিতের স্বপ্ন নিয়ে বহু চাকরি প্রার্থী এদিন পরীক্ষা দিতে এসেছেন। অন্যদিকে, এখনও অবধি স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে এখনও রাস্তায় পড়ে রয়েছেন ২০১৪ সালের টেট পাশ চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের কথায়, এটা প্রহসন মাত্র। আজ যারা পরীক্ষা দিলেন তাঁদের আমাদের পাশে এসে বসতে হবে না তো? আমাদের নিয়োগ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ Himacha Pradesh: রাহুল-প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতিতে শপথ নিলেন সুখু, তবুও ভয় কাটছে না

চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, আমরা আট বছর ধরে টেট পাশ করার পর এখনও নিয়োগ পাইনি। আবার একটি পরীক্ষা হচ্ছে। এটা প্রহসন মাত্র। কিছুদিন বাদে ওরা আমাদের পাশে এসে বসে আন্দোলন করছে। এমনটাও দেখা যেতে পারে। তাঁদের প্রশ্ন, পর্ষদের উচিত ছিল না অস্বচ্ছতা দূর করে তারপর নতুন করে নিয়োগ করা? আদৌ কী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন চাকরি প্রার্থীদের।

আমাদের নিয়োগ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? প্রশ্ন আন্দোলন মঞ্চে 
আমাদের নিয়োগ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? প্রশ্ন আন্দোলন মঞ্চে

২০১৪ সালে টেট পাশ করেও বঞ্চিত হয়েছেন। এই চাকরি প্রার্থীরা গত ৮ বছর ধরে কলকাতার রাজপথে একটানা ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার তাঁদের আন্দোলন ১১৬ দিনে পা দিয়েছে। দীর্ঘ বঞ্চনার পর এখন স্বচ্ছ চাকরির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। এখনও অবধি তাঁদের গ্লায় হতাশার সুর।

আমাদের নিয়োগ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? প্রশ্ন আন্দোলন মঞ্চে 

আমাদের নিয়োগ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? প্রশ্ন আন্দোলন মঞ্চে 
আমাদের নিয়োগ নিয়ে কী ভাবছে সরকার? প্রশ্ন আন্দোলন মঞ্চে

এর আগে টেট পাশ নট ইনক্লুডেডদের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না, চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে। আজ তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আজ আমাদের টেট পরীক্ষা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল হচ্ছে। তারপর কোয়ার্টার ফাইনাল হবে কাউন্সেলিং। তারপর নিয়োগপত্র হবে। এরপর ফাইনাল হবে যেদিন ছেলে-মেয়েরা ওই নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে চাকরিতে ঢুকবেন।