নজরবন্দি ব্যুরো: সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। এরপরেই সিসিটিভির ছবি দেখেই চিহ্নিত করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। অবশেষে পুলিশি তৎপরতায় হাওড়া স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম সানি। ইতিমধ্যেই সানিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ভরসন্ধ্যায় হাতে অস্ত্র নিয়ে ভিতর ঢুকে পড়ে কয়েকজন ডাকাত। এরপরেই তাদের লুটপাটে বাধা দিতে গিয়ে খুন হন দোকান মালিকের ছেলে নীলাদ্রি। এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ উগড়ে দেন সাংসদ অর্জন সিং। পুলিশের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে! শুধুই ডাকাতিতে বাধা পেয়ে খুন নাকি পুরনো কোনও শত্রুতার জের সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

এরপরেই এই খুনের ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা বিভাগকে। তদন্তভার পেয়েই এই ঘটনায় পুলিশ দু’জন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এরপরেই সিসিটিভির ছবি দেখেই চিহ্নিত করা হয়ে অভিযুক্তকে। অবশেষে হাওড়া স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়ায় তাদের গুলিতে মৃত্যু হয় দোকানের মালিকের পুত্র নীলাদ্রি সিংহের (২৯)। ব্যারাকপুরের হত্যাকাণ্ডের পর সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে তদন্ত শুরু হয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই চিহ্নিত করা হয় সানিকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিকে, নীলাদ্রির হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে রাজ্যের শাসকদলেরই নেতা অর্জুন সিংহ মন্তব্য করেন, “৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না। সে আবার অপরাধীদের ধরতে পারে নাকি!”