নজরবন্দি ব্যুরোঃ নীতীশ কুমার ও তেজস্বীর পর এবার নবান্নে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় এসেছেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিরোধী দলের একের পর এক শীর্ষ নেতৃত্বের তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, একটা ‘মুরগী’র খোঁজে এত আয়োজন।
অ-BJP দলগুলিকে এক সুতোয় বাঁধার দায়িত্ব মোটামোটি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন নীতীশ কুমার। কার্যত স্ব-উদ্যোগেই একের পর এক অ-BJP রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তিনি। রবিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও।

এরপর পর সোমবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন নীতীশ এবং তেজস্বী। মঙ্গলবার কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অর্থাৎ BJP বিরোধী জোট ধীরে ধীরে রূপ পাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে, কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের মেগা জয়ের জন্য রাহুল গান্ধীকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন শরদ পাওয়ার। তাঁর মতে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা এই নির্বাচন জয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। শরদ পাওয়ারের কথায়, “রাহুল গান্ধীর এই পদযাত্রার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হল কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন জয়। আমি আশাবাদী আরও অনেক মানুষ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে গান্ধীর আদর্শকে পাথেয় করে চলবে।”
প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির দাবিদার কে? মমতা-কেজরি বৈঠকের আগে জল্পনা উসকে দিলেন পাওয়ার
NCP প্রধানের কথায়, “আমি নির্বাচনে লড়াই করছি না। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির দাবিদার হওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। আমি এই দৌড়ে থাকতে চাই না। বরং এমন একজন যোগ্য নেতার প্রয়োজন যে দেশকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।” শরদ পাওয়ারের আরও সংযোজন, তাঁর প্রচেষ্টাতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ধীরে ধীরে এক ছাতার তলায় আসতে শুরু করেছে। একইরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনটাই মন্তব্য করেন পাওয়ার।