নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যজুড়ে এখন শীতের আমেজ। অনেক ঘরেই পাখা চালানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাত বাড়লে আর ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এদিকে উত্তুরে যাওয়ার দাপট বেড়েছে যার ফলে ক্রমে পারদ পতন ঘটছে। তাই কালীপুজোর আগেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আজ একটি বিশেষ দিন ধনতেরাস, এদিনও তাপমাত্রা অনেকটাই কম আছে। সকাল থেকে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে। আজকের প্রতিবেদনে রইল আবহাওয়ার বড় আপডেট।
আরও পড়ুন: কালীপুজো-ভাইফোঁটাতে কেমন থাকবে আবহাওয়া? কি বলছে হাওয়া অফিস? জেনে নিন লেটেস্ট আপডেট
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বেশি শীত অনুভূত হবে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করছে যে কারণে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাত ও ভোরের দিকে শরীরে শীতের শিরশিরানি লাগছে। কালীপুজো ও ভাইফোঁটাতেও ঠান্ডা বজায় থাকবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলায় তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। কোনও কোনও জেলায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচেও নেমে যেতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সকাল সন্ধ্যা শীতের আমেজ বজায় থাকবে। শহরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। কালীপুজো ও ভাইফোটা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। আরব সাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে তার বড় কোনও প্রভাব রাজ্যে পড়বে। স্বস্তিতেই কাটবে উৎসবের মরশুম।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শীতের আমেজ এসে গিয়েছে। আগামী দিন দুয়েকে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। জেলাগুলিতে ঠান্ডা অনুভূত হবে। পাহাড়ি এলাকায় তাপমাত্রার হেরফের না হলেও ক্রমশ শীত বাড়বে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
রাজ্যে বাড়ছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট, কালীপুজোর আগে জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে
