নজরবন্দি ব্যুরো: কর্ণাটকে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি নেতা সুধাকর কে। ২০১৯ সালে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট ভাঙার পিছনে তাঁর হাত আছে বলেই দাবি করেন বিজেপি নেতা। এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Karnataka: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হবেন সিদ্দারামাইয়া! ডিকে শিবকুমারের ভবিষ্যৎ কি?
বিজেপি নেতা এবং কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের ভাই ডঃ সুধাকর কে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, “২০১৮ সালে কংগ্রেস-জেডিএস জোট তৈরির সময় তৎকালীন বিধায়করা কমিটির চেয়ারম্যান সিদ্দারামাইয়ার কাছে যেতেন তখন তিনি দলীয় বিধায়কদের জানাতেন দলে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই। এমনকি তাঁর নির্বাচনী এলাকার কাজগুলিও স্থগিত রয়েছে।” বিজেপি নেতা আরও লেখেন, “সিদ্দারামাইয়া বিধায়কদের ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। সেইসময় সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছিলেন, এইচডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে লোকসভা ভোটের পর একদিনের জন্যও চলতে দেবেন না।”

সুধাকর কে’র কথায়, ‘সিদ্দারামাইয়ার এই আচরণের পরই তাঁদের কয়েকজন কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হয়।’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে তিনি দাবি করেন, “সিদ্দারামাইয়া কি অস্বীকার করতে পারবেন যে কংগ্রেস বিধায়কদের এই পদক্ষেপে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না?” কর্ণাটকে যখন বতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়ার নাম উঠে আসছে সেইসময়ে বিজেপি নেতার একটি টুইট রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।
২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির দখলে অধিক আসন থাকলেও কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট বেঁধে কর্ণাটকের সরকার গঠন করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই জোট ভেঙে গেলে শাসন ক্ষমতা বিজেপির হাতে যায়। মুখ্যমন্ত্রী হন বাসবরাজ বোম্মাই। এবছর বিধানসভা নির্বাচনে ২২৪ টির মধ্যে ১৩৮ টি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস। বিজেপি তিন সংখ্যার ঘর ছুঁতে পারেনি। পরাজয় স্বীকার করে লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করা নিয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির।
Congress-JDS জোট ভাঙে সিদ্দারামাইয়ার কারণেই! রাজনৈতিক মহলে শোরগোল
