নজরবন্দি ব্যুরোঃ সোমবার এসএসসি কাণ্ডে দুর্নীতি ঘিরে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি এসএসস্যার নিয়োগে সিবিআই তদন্তের অনুমোদন দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বিঁধে কবিতা লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “সেরা দূর্নীতিবাজ বঙ্গ সরকার”, কবিতায় উঠে এল সেই প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুনঃ SSC: শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি, CBI তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের!
এসএসসি সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনামা সকলের সামনে আসতেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি কবিতা লেখেন শুভেন্দু । সেখানে রাজ্য সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যার্থতা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সদ্য অর্জিত স্কচ পুরস্কার নিয়ে ও কটাক্ষ করেন তিনি। বললেন, “সেরা দূর্নীতিবাজ বঙ্গ সরকার”।
একি খবর শুনিলাম,
হায় হায় হায়,
শিক্ষাক্ষেত্রেও সিবিআই
ঢুকিল এইবার।
এইজন্যই পাইয়াছিলো
স্কচ পুরস্কার?
সেরা দূর্নীতিবাজ
বঙ্গ সরকার!!!— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 22, 2021
একই রকমভাবে শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে মহামান্য আদালতের তরফ থেকে জারি করা সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব কে স্বাগত জানায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। শেষ পর্যন্ত এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকরী হয় এখন সেটাই দেখার বিষয়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে গ্রুপ ডি নিয়োগে বেনিয়মের মামলার শুনানি হচ্ছিল সোমবার। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে এই সংক্রান্ত হলফনামা আগেই চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই হলফনামা দেখার পর অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন শুনানি চলাকালীন, স্কুল সার্ভিস কমিশন কে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একের পর এক তিরষ্কার করেছেন। কমিশনের পাশাপাশি বোর্ড কেও তুলোধনা করেন তিনি। কমিশন সুপারিশ করেনি বলে বার বার দাবি করেছে, কিন্তু সোমবার হলফনামা দিয়ে বোর্ড জানায় কী ভাবে কমিশন সেই সুপারিশ করেছিল। তাঁরা পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয় হাইকোর্টে। সফট কপির পাশাপাশি পেন ড্রাইভ দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফে। এত প্রমাণ দাখিলের পরেই কমিশন কী করে বলছে সুপারিশ করেনি, তা নিয়ে বিস্মিত হন বিচারপতি।
“সেরা দূর্নীতিবাজ বঙ্গ সরকার”, এবার কবিতা লিখলেন শুভেন্দু
এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই নিয়োগের পর্দা ফাঁস করার জন্যে সিবিআই এর প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর কথায়, কমিশনের সুপারিশ যদি না করে, তা হলে কার হাত রয়েছে এই দুর্নীতির পেছনে তিনি তা জানতে চান। বিচারপতির প্রশ্ন, কার সুপারিশে ২৫ জন চাকরি পেলেন? সেতা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। অদৃশ্য ভাবে কে রয়েছে এই ঘটনার পেছনে তাঁকে খুঁজে বার করতে হবে।