নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে কত দিনের পার্থক্য হওয়া উচিৎ? অল্পদিনের মধ্যেই বেশ কয়েকবার এই ব্যবধান বদল করেছে সরকার। যার ফলে এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে রয়ে গেছে জল্পনা। ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধানই সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয় ডোজ যত পরে নেওয়া হবে ততই ভালো বলে দাবি করেছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ করোনাকালে আরও এক মহামারীর কবলে দেশ, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে নয়া গাইডলাইন AIIMS-এর
সম্প্রতি মেও ক্লিনিক ভ্যাকসিন রিসার্চ গ্রুপের ডিরেক্টর গ্রেগরি পোল্যান্ডের কথায়, দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের পার্থ্ক্য যত বেশি হবে শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে। গ্রেগরি পোল্যান্ড বলেন, কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান যত বেশি হবে অ্যান্টিবডির পরিমাণ ততই বৃদ্ধি পাবে।
তার কথায় দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পর শরীরে ৩০০ শতাংশ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। এছাড়াও সংক্রমণ জনিত জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও অনেক মাত্রায় কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গেছে, এর পরই কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যের ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ ১২-১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এবং মডার্নার এমআরএনএ কোভিড-১৯ টিকার ব্যবধান ৯ থেকে ১৫ সপ্তাহ নির্ধারিত করা হয়েছে।