জয় এলো আন্দোলনেই, দাবি পূরণ হচ্ছে ভোট কর্মীদের।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ রাজ্যে ভোট কর্মীদের জন্য টানা প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকটি জেলায় ট্রেনিং-এর মাঝে লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ অনেক জেলায় দীর্ঘসময়ের এই ট্রেনিংয়ে চা-বিস্কুট ছাড়া কোন কিছুর ব্যবস্থা ছিলনা। একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একই বিষয়ে ট্রেনিং-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা কেন? গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন ভোটকর্মীরা। এবার দাবি পূরণ হচ্ছে ভোট কর্মীদের।
আরও পড়ুনঃসামনে বিধানসভা ভোট, বিপুল হারে ভোকেশনাল শিক্ষকদের বেতন বাড়ালো রাজ্য সরকার!
ভোটের কাজে নিযুক্ত কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একই বিষয়ে ট্রেনিং তবুও বৈষম্য কেন? শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী প্রশ্ন তুলেছিলেন, “বরাদ্দ অর্থ যাচ্ছে কোথায়? কেন এই দ্বিচারিতা? তার উত্তর দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।” তাঁর কথায়, দু-তিন দিনের ট্রেনিং এবং ভোটের আগের দিন ভোর থেকে ভোটের দিন রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করার পর পরের দিন ভোরে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত যে সাম্মানিক বরাদ্দ করা হয় তা অত্যন্ত অসম্মানজনক। রেমুনারেশন ও ফুড অ্যালাউন্স-এর জন্য ২০১৪ সালের যে নির্দেশিকা (Vide memo no. 464/INST-PAY/2014-EPS, Dated – 28/02/2014) রয়েছে সেটা কি তাহলে সঠিক ভাবে কার্যকর করা হয় না? সে অর্থ কোথায় যাচ্ছে? সেই প্রেক্ষিতে কিংকর বাবু আবেদন জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।
নির্বাচন কমিশনের এই অসঙ্গতি গুলির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব, অ্যাডিশনাল সিইও সঞ্জয় বসু, ডেপুটি সিইও বুলান ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ এবং কমিশনের নিজস্ব মেলে প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছিলেন ভোটকর্মীরা। একই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিং সেন্টার গুলিতেও চলছিল ভোট কর্মীদের প্রতিবাদ ও ডেপুটেশন।
দাবি পূরণ হচ্ছে ভোট কর্মীদের। তবে কমিশন মেনে নিয়েছে এই দাবি গুলি। । গতকাল সোমবার, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নোটিফিকেশন জারি করে জানিয়েছে সব ভোট কর্মী ট্রেনিং-এর সময় ১৭০ টাকার লাঞ্চ পাবেন। দাবি মেনে নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে আমরা অভিনন্দন জানিয়েছেশিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। যদিও পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন অন্যান্য অসঙ্গতি গুলি দূর করার দাবিতে জারি থাকবে আমাদের প্রতিবাদ আন্দোলন। অন্যান্য রাজ্যের মতই ভোটের পরের দিন সমস্ত ভোট কর্মীর জন্য অন ডিউটির ব্যবস্থার দাবি এবং সম্মানজনক রেমুনারেশন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন জারি রাখছে ভোট কর্মীরা ।