নজরবন্দি ব্যুরোঃ প্যান্ডেলে ঢোকার নিসেধাজ্ঞায় বাড়তি ভিড় পানশালায়, উদ্বেগ সংক্রমণ ছড়ানোর ।পুজো প্যান্ডেলে ঢোকার নিষেধাজ্ঞায় এবার উৎসবে প্যান্ডেল হপিং বাদ হয়েছে বাঙ্গালির।তার সাথে যোগ হয়েছে অন্ধ্র উপকুলের নিম্নচাপ। যার জেরে পুজোর চারদিন বাংলায় রয়েছে প্রবল বৃষ্টির আসঙ্কা।তবে বৃষ্টি বাঙ্গালির পুজোর আনন্দে কবেই বা জল ঢালতে পেরেছে।মহামারী পরিস্থিতির জন্য শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ। তার উপরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকা। তাই পঞ্চমীর রাতে ফাঁকাই গেল রাস্তাঘাট।
আরও পড়ুনঃউদ্বেগ বাড়িয়ে দেশে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ।
‘নো এন্ট্রি জোন’-এর ব্যারিকেডের বাইরে থেকে উঁকি মেরে কেউ কেউ মণ্ডপ দেখতে চেয়েছেন। কিন্তু তাতে সাধ মেটেনি।পুলিশ সূত্রে খবর, হাইকোর্টের নির্দেশিকা পালনের জন্য সব থানায় নির্দেশ পাঠিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তবে পঞ্চমীর রাতে ভিড় না-থাকায় বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছেন পুলিশকর্মীরা।জেলাগুলিতেও মণ্ডপের সামনে ব্যারিকেড। তবে রাস্তায় ভিড় হলে কী হবে, তা চিন্তায় রেখেছে প্রশাসনকে।আজ মহাষষ্ঠী। কলকাতা সহ জেলার রাস্তাঘাট সকালের দিকে ফাঁকা থাকলেও সন্ধের পর কী অবস্থা হবে তা নিয়ে সন্দিহান প্রশাসন। অবশ্য বৃষ্টির ভ্রুকুটি রয়েছে।
উত্সবপ্রিয় বাঙালি আবার বৃষ্টিকে কবে কেয়ার করেছে? তাই প্রশ্ন থাকছে। তবে মণ্ডপ বা রাস্তার ভিড় বেশি না থাকলেও রেস্তোরাঁ কিংবা পানশালাগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছে। দূরত্ববিধি কেউই সেভাবে মানছেন না। এটাই চিন্তায় রাখছে প্রশাসনকে। বারবার বলা সত্ত্বেও মানুষ যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলছেন না। বাড়ছে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা।প্রশাসন এটা বুঝে গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশিকার পর মণ্ডপে ঢোকা নিষিদ্ধ হলেও রেস্তোরাঁ এবং পানশালায় অতিরিক্ত ভিড় হবে।
প্যান্ডেলে ঢোকার নিসেধাজ্ঞায় বাড়তি ভিড় পানশালায়, উদ্বেগ সংক্রমণ ছড়ানোর । তাই এবার সেদিকেই কড়া নজরদারি রাখতে চাইছে পুলিশ। সংক্রমণের ভয়েই হাইকোর্ট কড়া নির্দেশিকা জারি করেছহে।তাই সেই ভিড় রেস্তোরাঁ পানসালায় পরে সংক্রমণ না বাড়ায় সেদিকেও লক্ষ রাখছে প্রশাসন।