নজরবনি ব্যুরোঃ বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি। আর সেই বন্যাকে ম্যান মেড আখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যাইয়। আজ সকালেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “এটা ম্যান মেড ফ্লাড। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রাত তিনটের সময় না জানিয়ে জল ছেড়েছে ডিভিসি৷ সেই জন্যই বন্যা হচ্ছে। বাঁকুড়া জেলা পুরো ডুবে গিয়েছে, বর্ধমান ভাসছে। ওই জল আসছে হাওড়া-হুগলিতে।” আর তা নিয়েই তোপ দাগলেন শুভেন্দু, বললেন, ৫০ লাখ মানুষকে ভবানীপুরের জন্য ভাসিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিল ডিলারদের সংগঠন।
আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ড-বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের রাজ্যকে ফল ভুগতে হচ্ছে। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করছে না। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করলে আরও জল ধরে। এভাবে না জানিয়ে জল ছাড়ার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমি। বৃষ্টির জন্য বন্যা হলে বুঝতাম৷ কিন্তু বন্যা হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য৷”
আর তা নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, “ভবানীপুরের জন্য রাজ্যের ৫০ লক্ষ মানুষকে বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে বন্যা। সেই লোকগুলির প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করব। আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করব, ভারতীয় জনতা পার্টির যত শক্তি আছে, সবাইকে আগামিকাল থেকেই তার সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্য দিয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে নামিয়ে দিতে হবে। গোটা ভারতবর্ষের সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও আবেদন করতে হবে এই সাহায্য কার্যে।”
৫০ লাখ মানুষকে ভবানীপুরের জন্য ভাসিয়ে দিয়েছেন মমতা, বিস্ফোরক শুভেন্দু
এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মমতা সরকার।” তৃণমূল কে সরাসরি আক্রমণ করে তাঁর বক্তব্য, “আমি ২১ বছরের তৃণমূল করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই দল ২০১৬ সালের পর থেকে পুলিশ, সরকারি ক্ষমতা এবং গুন্ডা নির্ভর। আর উনিশ সালের পর দুধেল গাইদের ওপর নির্ভর করে চলছে। যেদিন এই পার্টিটা সরকারে থাকবে না। সিপিএম পাঁচ বছর লেগেছিল, এই পার্টি উঠতে ৩০ দিন লাগবে না।”

এনিজেকে নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, “আমি শুভেন্দু অধিকারী, তিনটে ক্যাবিনেট ছিল। এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান, সাতটা জেলার অবজার্ভার। আমি সব ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেরুয়া ঝান্ডাটা গ্রহণ করেছি তার কারণ বাংলার সনাতনী সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে এবং বাংলাকে আরেকবার উদবাস্তু বাংলা হতে দেওয়া যাবে না।”