নজরবন্দি ব্যুরোঃ বাবা মানসিকভাবে সুস্থ নন। এমনকি তাঁর শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রার পর এমনটাই মন্তব্য করতে শোনা যায় মুকুল রায় পুত্র শুভ্রাংশুকে। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি কি বিধায়ক পদে থাকতে পারেন? এই প্রশ্ন রাজ্য রাজনীতিতে ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটা জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গেই মুকুলের কেন্দ্র মুকুলের কেন্দ্রে উপনির্বাচন! জোরালো হচ্ছে জল্পনা।
আরও পড়ুনঃ Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে CBI তদন্ত? এসপি অফিসে ধরনায় সুকান্ত
মুকুল রায় দাবি করেছেন, তাঁর পরিবারই তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানাতে চায়। বিশেষ করে মুকুল পুত্রের মন্তব্য সেই জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে। কারণ, শুভ্রাংশু রায়ের বক্তব্য ছিল, তিন বছর আগের মুকুল রায়ের সঙ্গে এখনকার মুকুল রায়ের পার্থক্য রয়েছে। তিনি মানসিকভাবে স্থিতিশীল নন। একইসঙ্গে তাঁর শারীরিকভাবেও সুস্থ নন তিনি। গোটা বিষয়টার মধ্যে টাকার খেলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মুকুল রায় নিজেই জানিয়েছেন, আমি এখন পূর্ণ সুস্থ। মাঝে শরীর খারাপ হয়েছিল। এখন ঠিক আছে। বাড়ির লোক অসুস্থ অসুস্থ করে পাগলের প্রমাণের জন্য মনের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কাউকে না জানিয়েই দিল্লিতে চলে এসেছি। তবে তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাদের কথায়, মুকুল রায় যে মন্তব্য করছেন, তাতে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি বারবার প্রকট হচ্ছে। যার ফলে কৃষ্ণনগর উত্তরের মানুষ সমস্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হোক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মানসিক ভারসাম্য না থাকলে তিনি বিধায়ক পদে থাকতে পারেন না। চিকিৎসকদের তরফে নিদান পাওয়ার পরেই যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করেন। চিকিৎসকদের নিদান সঠিক কি না, সেটা জানতেও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হতে পারে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনেই মুকুলের কেন্দ্রে উপনির্বাচন! জল্পনা জোরালো হচ্ছে ক্রমাগত
তবে মুকুলকে নিয়ে শাসক দল তৃণমূল নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন মুকুল বিজেপির বিধায়ক। তাঁর গতিবিধি নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না শাসক দল। বরং পুলিশের কাছে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তার ভিত্তিতে তদন্ত করবে পুলিশ।