নজরবন্দি ব্যুরোঃ জেরায় মুখ খুলছেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটি মামলায় এমনটাই দাবি করে বসলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধেড়ে ইঁদুরের খোঁজ পেতে সুবীরেশকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও জানান তিনি। এরই মধ্যে মামলায় অভিযুক্তদের সিবিআই জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি, কয়েক ঘণ্টায় অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন
সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা জেলবন্দি থাকলেও এখনও বাইরে রয়েছে প্রাক্তন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার। অভিযোগ, সৌমিত্র সরকারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল অশোক সাহা, শান্তি প্রসাদ সিনহা সহ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত পাকা মাথার খেলোয়াড়রা। সেই তালিকায় যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে বাগ কমিটির তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, সেখানে রয়েছে সৌমিত্র সরকারের নাম। নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে তাঁর যোগ মিলেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, একাধিক জায়গায় দেখা গেছে নম্বর পেনসিলে লেখা, আবার নম্বরের জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এরপর লকডাউনের একাধিক ভুয়ো সুপারিশপত্র ছাপা হয়েছিল৷ যার মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহারা।
নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেছে সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআই দাবি করছে, ইচ্ছেমতো নিয়োগ সুবিধের জন্য শান্তি প্রসাদ সিনহাকে এসএসসির উপদেষ্টা করা হয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই। এমনকি চার্জশিটে দাবি করা হচ্ছে, দুর্নীতির বিরোধীতা করেছিলেন সৌমিত্র, পদত্যাগে চাপ দেন পার্থ। পরবর্তীকালে তাঁকে জেলবন্দী করার জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল৷ এমনটাও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
সৌমিত্রকে জেলবন্দি করার ছক কষা হয়েছিল, SSC দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ-ই!
সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলে সৌমিত্র সরকারের ওপর চাপ তৈরি করে। এমনকি সৌমিত্র দুর্নীতিতে সায় না দেওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে অভিযোগ, সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সৌমিত্র সরকার। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং সৌমিত্র সরকারকে চাপ দেওয়া হয়েছিল পদত্যাগ করার জন্য। তাই ১৯৯৭ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনের ৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে, তিনি সৌমিত্র সরকারের জায়গায় অশোককুমার সাহাকে বসানো হয়েছিল।