নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দিন কয়েক আগেই আদালতের তরফে বলে হয়েছিল রাজ্যে ঘটা খুন এবং ধর্ষণের মামলা গুলি তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI, বাকি মামলা গুলির তদন্ত চালাবে সিট। আদালতের তাড়া খেয়ে তড়িঘড়ি গঠিত হয়েছিল সিট। দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, আইপিএস সুমনবালা সাহু ও রণবীর কুমারকে।
আরও পড়ুনঃ বুধের পর গুরুবারেও প্রচারে হোঁচট প্রিয়াঙ্কার, ভবানীপুরে বাধা, বচসা পুলিশের সঙ্গেও
চলতি মাসের একেবারে শুরুতে, ৩রা সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে সিটের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি কলকাতা ছাড়াও বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। চেল্লুরকে সিটের মাথা হিসেবে নিয়োগ করার সময়েই আদালত জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের কোন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে না পাওয়ায় এই মূহুর্তে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে সিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা, তদন্তে রাজ্যকে ৫ জোনে ভাগ করে ১০ আইপিএস নিয়োগ করেছে নবান্ন
আদালতের নির্দেশে গঠিত সিটের তদন্তের ওপর নজরদারি চালাবেন তিনি। তাঁর সাম্মানিক হিসেবে ধার্য করা হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। আজ, বৃহস্পতিবার মঞ্জুলা চেল্লুর সাফ জানিয়েছেন সিটের প্রধান হিসেবে ওই ১০ লাখ টাকা সাম্মানিক নেবেন না তিনি।
গত ১৯ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় খুন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলির তদন্ত করবে সিবিআই। তদন্ত ভার পাওয়ার পর থেকেই জোর কদমে কাজ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। রাজ্য পুলিশের রিপোর্টের ওপর ভরসা না করে নিজেরাই তদন্ত শুরু করেছেন গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে। বীরভূম থেকে নদীয়া চষে বেড়াচ্ছেন টিম ভাগ করে। তদন্তে ভাষা অন্তরায় না হওয়ার জন্য দলে নিয়োগ করা হয়েছে বাঙালি কন্সটেবলদেরও।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ৪৩টি খুন ও ২৮টি মহিলা ঘটিত অপরাধের মামলা রয়েছে তাদের কাছে। মোট চারটি দল গঠন করেছে সিবিআই। যাতে রয়েছেন ১০৯ জন অফিসার। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তের জন্য ১০ আইপিএস অফিসার কেও নিয়োগ করেছে নবান্ন। রাজ্যকে মোট ৫ টি জোনে ভাগ করে প্রতি জোনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২ জন করে অফিসারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।