নজরবন্দি ব্যুরোঃ নবরাত্রির মধ্যে নরবলি দিলে সন্তানধারণ করবেন স্ত্রী। তান্ত্রিকের আশ্বাসে তিলজলাতে শিশুকন্যাকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ধৃত। তবে তার বয়ান আদৌ সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুনঃ ক্যান্সারে বাদ দুটি ডিম্বাশয়, তবুও যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে ইতিহাস গড়ল মা?
খোঁজ শুরু হয়েছে তান্ত্রিকেরও। অভিযুক্তের স্ত্রী এখন বিহারে রয়েছেন। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিল অভিযুক্ত অলোক কুমার। বাচ্চাটি ময়লা ফেলে তাদের চারতলার ফ্ল্যাটে যাওয়ার আগে জোড় করে হাত টেনে ঘরে ঢুকিয়ে নেয় অভিযুক্ত।ওই শিশুর শরীরে মিলেছে যৌন নিগ্রহের প্রমাণও।

খুনের পাশাপাশি পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারাতেও মামলা রুজু হয়েছে ধৃত অলোক কুমারের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল থেকে সাত বছরের ওই শিশুকন্যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ক্রমে পরিবার ও প্রতিবেশীরা সব জায়গায় খুঁজতে শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ থানায় যান।
পুলিশ আইন মেনে অপহরণের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ওই বহুতলের প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে চিরুনি তল্লাশি চালায়। তিনতলায় অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখা যায়। যুবক প্রথমে বলার চেষ্টা করে সেখানে নিজস্ব জিনিসপত্র রয়েছে।
তান্ত্রিকের নির্দেশেই নরবলি! তিলজলার শিশু খুনে চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃতের
কিন্তু বস্তায় হাত দিয়েই নরম কিছু অনুভব করেন পুলিশকর্মীরা। তার উপর বস্তাটি ভিজে দেখেও তাদের সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি সেটি খুলতেই বেরিয়ে পড়ে শিশুকন্যার দেহ।