নজরবন্দি ব্যুরোঃ মানুষের জন্যে মন কাঁদা নেতাদের দল পরিবর্তন দেখে অভ্যস্ত বাংলা। গত ১ বছরে একাধিক নেতাকে দেখা গেছে মানুষের জন্যে কাঁদতে। সবার একটাই কথা মানুষের জন্যে কাজ করতে ছান তাঁরা। এবার সেই দলে নাম লেখাতে চলেছেন সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। আজ উপনির্বাচনের দিনেই জানালেন মানুষের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিতে চান তিনি!
আরও পড়ুনঃ বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ল ভোট দানের প্রবণতা, ভবানীপুরে ভোট পড়ল ৪৮%
জইদুর সামসেরগঞ্জ আসনে কংগ্রেসের (Congress) হয়ে ভোটে লড়তে দোনামনা করছিলেন প্রথম থেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত ‘মানুষের স্বার্থে’ তিনি ভোটে লড়বেন বলে জানান হাইকমাণ্ড কে। পান টিকিট, দেওয়ালে লেখা হয় নাম। কিন্তু ভোট গ্রহণের দিনেই উলটো সুর শোনা গেল তাঁর মুখে। আজ জইদুর বলেন, “তিনি কোনও দলের নন, মানুষের স্বার্থে ভোটে লড়ছেন। তাই মানুষের প্রয়োজনে তৃণমূলে যেতে হলে যাবেন।”
জইদুরের দাদা খলিলুর রহমান তৃণমূলের জেলা সভাপতি এবং জঙ্গিপুর লোকসভার তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাদা যেহেতু তৃণমূল সাংসদ তাই শুরু থেকেই কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়তে চাননি জইদুর। পরে অনেক অনুরোধে রাজি হন। মাত্র ৭ দিনের প্রচার শেষেই নিজের জয় নিয়ে নিশ্চিত তিনি। তবে জইদুর যদি কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতেও যান তাহলেও যে বিধানসভায় কংগ্রেস খাতা খুলবে এমনতা আশা করা মুশকিল কংগ্রেস নেতৃত্বের।
আজ জইদুর ইঙ্গিত দিয়েছেন ভোটে জিতলেও তিনি মানুষের স্বার্থে যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান এর আগেও নিজের দলকে নিশানা করেছিলেন। বলেছিলেন, “ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের আনা হয়েছে বুথ দখলের জন্য। ৭০টি বুথ দখল করে যাঁরা মানুষের ভোট লুঠ করতে চায় তাঁদের রুখুন। নির্বাচন কমিশনের লোক সভায় আছেন। তাঁরা ব্যবস্থা নিন।” তাঁর নিশানা ছিল কংগ্রেস কে লক্ষ্য করে। জইদুর বুঝিয়ে দেন কংগ্রেস ৭০ টি বুথ দখল করতে ভোটে জিততে চায়।
মানুষের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিতে চান সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান!
উল্লেখ্য, সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাসের মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যায়। নয়া ভোটের দিন স্থির হয়েছিল ১৪ই মে। অনেক টালবাহানার পর গত ২৬ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন জইদুর রহমান। তবে ইদের কারণে সেই ভোট গ্রহণ পিছিয়ে যায়। অবশেষে ঠিক হয় ৩০ সেপ্টেম্বর হবে ভোট। এর সেই ভোটের দিনেই জইদুর জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি!