নজরবন্দি ব্যুরো: দুয়ারে রেশন প্রকল্পে বড় জট, ১ লাখ টাকা নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রেশন ডিলাররা। ভোটে জেতার আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসলেই রাজ্যবাসীর দরজায় গিয়ে রেশন দেবে মা মাটি মানুষের সরকার। পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল সব এলাকার মানুষই দুয়ারে রেশনের সুবিধা পাবেন। দুয়ারে রেশন প্রকল্প ভাইফোঁটা থেকে চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগে কেলেঙ্কারি, চাকরি বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ লাখে!!!
যার ট্রায়াল চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর থেকে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রাস্তায়। দুয়ারে রেশন প্রকল্পে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে পরিকাঠামো। তাই সেপ্টেম্বরের শেষে হবে এই ট্রায়াল। শুক্রবার খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে পরিকাঠামোগত বিষয় নিয়ে রেশন ডিলারদের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই মন্ত্রীর সামনে একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন রেশন ডিলাররা। প্রধান সমস্যা যে পরিবহণ তা জানিয়ে দেন তাঁরা।
ডিলারদের কথায়, গাড়ি নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে রেশন বিলি করতে যে ন্যূনতম পরিকাঠামো দরকার, তার অনেকটাই এখনও ডিলারদের হাতে আসেনি। যেমন, গাড়ির ব্যবস্থা হয়নি এখনও। ই-পস মেশিন বয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া অতিরিক্ত কমিশনের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তাঁরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৭৫ টাকা কমিশন পান ডিলাররা। সেটাই কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আলাদা আরও ৪০ টাকা করার দাবি তুলেছেন ডিলাররা। গাড়ি নিয়ে সমস্যা তো আছেই।
দুয়ারে রেশন প্রকল্পে বড় জট, গাড়ি কেনার সামর্থ নেই সাফ জানাচ্ছেন রেশন ডিলাররা।
বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছতে প্রত্যেক ডিলারকেই কিনতে হবে একটি গাড়ি। দাম প্রায় ৭ লাখ! ডিলাররা সাফ জানাচ্ছেন গাড়ি কেনার ক্ষমতা তাঁদের নেই। তাই এই গাড়ি কিনতেই রাজ্যের রেশন ডিলারদের এককালীন এক লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল রাজ্য সরকার। ডিলাররা জানিয়েছেন সেই টাকা নেবেন না তাঁরা। অন্যদিকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ট্রায়াল দেওয়ার জন্যে ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় চেয়েছেন ডিলার রা।