নজরবন্দি ব্যুরোঃ বাংলায় কার্ফু জারির পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব অজয় ভল্লা এদিন চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। চিঠিতে একাধিক পরামর্শের সাথে নাইট কার্ফু জারি করার কথাও বলা হয়েছে। অজয় ভল্লা চিঠিতে করোনার গাইডলাইন অনুযায়ী কনটেন্মেন্ট জোন গড়ে কার্ফু জারির পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি গন পরিবহনে কাটছাঁট করতে বলা আছে চিঠিতে।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘন্টায় ৬৮ টি মৃত্যু, কম টেস্টেই রেকর্ডভাঙা সংক্রমণ বাংলায়।
অন্যদিকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্মসচিব (স্বাস্থ্য) লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে যাঁরা মাস্ক পরেন না বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখন না, এমন দু’জন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি ৯০ শতাংশই বেড়ে যায়। অন্য দিকে,মাস্ক পরে থাকলে সেই ঝুঁকি কমে ৩০ শতাংশ কমে যায়। প্রায় একই পরামর্শ দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, “করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই নিজেকে নিভৃতাবাসে থাকুন। কোভিড রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবেন না। উপসর্গ দেখা দিলেই মনে করুন যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।”
পাশাপাশি দেশের নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পরিবারের কারও করোনা ধরা পড়লে অন্যরা সব সময় মাস্ক পরে থাকুন। সংক্রমিতকে আইসোলেশনে রাখাও জরুরি। কারণ ঘরের ভিতরেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আমি এ-ও বলব যে এমনকি, বাড়ির মধ্যেও মাস্ক পরে থাকা সময় এসেছে।”
বাংলায় কার্ফু, কিন্তু কেন? কেন্দ্র এই ব্যাপারে দুটি নিয়ম জারি করেছে। কেন্দ্রের দেওয়া ২টি নিয়মের একটি হল, ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি করোনা পরীক্ষায় ১০ শতাংশ বা তার বেশি মানুষ সংক্রমিত হন তাহলে কনটেনমেন্ট জোন লাগু করতে হবে সে এলাকায়। দ্বিতীয় টি হল যদি এলাকার হাসপাতালগুলিতে ৬০ শতাংশের বেশি রোগী অক্সিজেন সাপোর্টে কিংবা আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন থাকেন তাহলেও সেই এলাকাকেও কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় রাখতে হবে। এই দুই শর্তর মধ্যে যে কোনও একটি পূরন হলেই সেই জোনে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।