নজরবন্দি ব্যুরোঃ যেখানে খুশি যাক, রায় সাহেবের এই মন্তব্যেই স্পস্ট আপাতত শুভেন্দুর হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। এই মুহুর্তে ভোট পরবর্তী হিংসা, ভুয়ো টিকা করণ সবকিছুকে একপাশে সরিয়ে রেখ বিজেপি বিধায়করা লাগাতার নালিশ-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মুকুল রায়কে নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ মনোজের জায়গায় মদন! বিজেপির ছেড়ে যাওয়া জায়গা ভরালেন তৃণমূলের MLA’রা
মুকুলের বিরুদ্ধে একেবারে শুরু থেকেই সরব শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে ভোট জিতে আসা মুকুল এখন বসেন তৃণমূল ভবনে। প্ল্যান কষেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর বিধানসভায় বসেন গেরুয়া শিবিরের সারিতে। সেই কারণেই আজ PAC পদের চেয়ারম্যানও তিনি।
আর এখানেই আপত্তি বিজেপির। প্রথম থেকে কড়া বিরোধীতা, দলত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েও কোন লাভ হয়নি। জল্পনা সত্যি করে দিব্যি PAC পদে বহাল আছেন রায় সাহেব। মাঝখান থেকে বিধানসভার ৮ কমিটির চেয়ারম্যান পদ গিয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। মুকুলের পদে বসার বিরোধীতাতেই ৮ কমিটির চেয়ারম্যান পদ ত্যাগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা।
যেখানে খুশি যাক, শুভেন্দু আদালতে গেলেও কিছু যায় আসছে না মুকুলের।
আজ তাঁদের পরিবর্তে তৃণমূলের ৮ বিধায়ককে ৮ কমিটির মাথায় বসিয়েছেন স্পিকার। এই মুহুর্তে বিধানসভার ৪১ কমিটির মধ্যে ৪০ টির মাথায় শাসক দলের বিধায়করাই। এদিকে মুকুলের বিরুদ্ধাএ লাগালার নালিশ চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী দল। আজ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রথম শুনানি ছিল বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষে।
ভিডিও সিডি প্রস্তুত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে ৩-৪ মিনিটেই শেষ হয় শুনানি। পরবর্তী দিন পড়লেও আর সময় নষ্ট করতে রাজি নন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সাফ জানিয়েছেন রাজ্যের আইনে ভরসা নেই তাঁর, জানান “অনির্দিষ্টকাল ধরে শুনানি চলবে এটা হয় না।” তাই এবার পা বাড়াবেন আদালতের পথে।
তবে এসবকে একদমই পাত্তা দিচ্ছেন না মুকুল রায়। যেখানে খুশি যাক, আদালতে যেতেই পারে… বলে কাটিয়ে গিয়েছেন সমগ্র বিষয়। যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আর তার জল গড়াবে আদালত পর্যন্ত সেখানে মুকুলের বরাবরের এই ‘ঠান্ডা মাথা’র প্রতিক্রিয়া যে আদপে চাপ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরে তা নিয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল গুলি।