নজরবন্দি ব্যুরো: অযোধ্যার রামমন্দির বর্তমান সময়ের একটি হট টপিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার এবিষয়ে কথা বলেছেন। এবার উদ্বোধনের আগে একটি উদ্যোগ নিল গেরুয়া শিবির। আগামী মাসে গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে বড় কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন সনাতনী সংগঠন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এরপর জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কি অনুষ্ঠান উপলক্ষে একমঞ্চে দেখা যেতে পারে মোদী-মমতাকে?
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় যোগীর মন্ত্রিসভার বৈঠক, দীপাবলির আগে কোন বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী?
আগামী ২৪ ডিসেম্বর গীতাজয়ন্তীর দিন ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের কর্মসূচি নিয়েছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ’ নামে সংগঠন। এই সংগঠনের সঙ্গে বাংলার বিভিন্ন মঠ ও মন্দির। সূত্রে খবর, এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে আমন্ত্রণ জানানো হবে তা আগেই জানিয়েছিলেন আয়োজকেরা। কয়েকদিন পর জগদ্ধাত্রী পুজো, সেসব মিটে গেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে খবর। সংগঠনের সভাপতি তথা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি সকলের জন্য। কোনও রাজনীতি নয়। মানবকল্যাণের লক্ষ্য নিয়েই এই অনুষ্ঠান। আমরা প্রথমে ঠিক করেছিলাম মাননীয় রাষ্ট্রপতি আসুন। পরে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথা ভাবি। সব ঠিক থাকলে উনি ওই দিন অনুষ্ঠানে থাকছেন। সকলের সঙ্গে গীতাপাঠে অংশও নেবেন।’’
আরও জানা গিয়েছে, ‘‘আমরা কমপক্ষে এক লাখ মানুষের সমাবেশ করব। সমবেত কণ্ঠে তাঁরা গীতা পাঠ করবেন। এটা অতীতে বিশ্বের কোথাও কখনও হয়নি।’’ সব ঠিক থাকলে হয়তো একইমঞ্চে দেখা যেতে পারে মোদী-মমতাকে। ৩৬০০ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই লিখিত সম্মতি দিয়েছে। আরও কিছু সংগঠন খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। হিন্দু সংস্কৃতিতে মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতে গীতাজয়ন্তী পালনের রেওয়াজ রয়েছে। গীতার মোট ১৮টি অধ্যায় হলেও সে দিন পাঁচটি অধ্যায়ের পাঠ হবে। সেই বাছাই অধ্যায়ের কথা ইতিমধ্যেই সব সংগঠনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।