নজরবন্দি ব্যুরো: রেশন দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বাংলা। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। রাজনৈতিক দলগুলির তরফেও উঠে আসছে প্রতিক্রিয়া। তদন্তের শিকড় খুঁজে বের করতে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলার তদন্ত চলাকালীন সামনে এসেছে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা বিমল রায়ের নাম। যিনি পেশায় একজন রেশন ডিলার। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই উদ্ধার হল একগুচ্ছ পোড়া রেশন কার্ড। এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন: বড়সড় নিয়ম বদল উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায়, কি জানাল সংসদ?
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বিমল রায়ের বাড়ির সামনে একগুচ্ছ পোড়া কাগজ দেখতে পায় এলাকাবাসীরা। পরে ঘেঁটে দেখলে বোঝা যায় সেগুলি আসলে রেশন কার্ড। দিকে কয়েকদিন ধরেই বাড়িতে নেই বিমল রায়। তাঁর রেশন দোকান খোলা থাকলেও, তাঁকে দেখা যায়নি বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, ওইসমস্ত নথি বিমল রায়ের নয়। রেশন দুর্নীতি নিয়ে যখন তদন্ত চলছে, একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে সেইসময়েই এই পোড়া রেশন কার্ড উদ্ধারের ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তবে এখনও কিছু স্পষ্ট জানা যায়নি।
রেশন ডিলার বিমল রায় ‘রায়সাহেব’ নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। শিলিগুড়িতে মাটিগাড়ার পাথরঘাটায় এক বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে তাঁর। এদিন সকালে ওই বাড়ির সামনেই রেশন কার্ড দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলি পুড়ে যাওয়ায় স্পষ্ট নয়। তবে কয়েকটির নাম, নম্বর চিহ্নিত করা গিয়েছে। রেশন ডিলার হলেও তাঁকে নাকি খাদ্য দফতরের কর্মীরাও চিনত। নিয়মিত উত্তরবঙ্গের খাদ্য দফতরে যাতায়াত ছিল তাঁর। সকলেই তাঁকে চিনতেন রায়সাহেব নামে। তাঁর বাড়ির সামনে থেকে পোড়া রেশন কার্ড উদ্ধার হওয়ায় বেড়েছে জল্পনা।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। সম্প্রতি তারা দাবি করেছে, রাজ্যে দরিদ্রদের জন্য চালু থাকা তিনটি প্রকল্প থেকে ৩০ শতাংশ রেশন খোলা বাজারে বেআইনিভাবে বিক্রি করা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তার আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিবুর রহমানকে। এই দুজনকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য ইডি জানতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রেশন ডিলারের বাড়ির সামনে পোড়া রেশন কার্ডের ‘ঢিবি’, দুর্নীতির আবহে তদন্তে নয়া মোড়?
