নজরবন্দি ব্যুরোঃ বুধবার নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই চলতি বছরে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২১ তারিখ থেকে শুরু হবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। যা চলবে ২৩ তারিখ অবধি। তার জোরদার প্রচারের কথা ঘোষণা করলেন তিনি।বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি এখন থেকেই, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। বিভিন্ন রাজ্যে ৮ থেকে ৯ টি পদযাত্রা করার কথা ঘোষণা করলেন মমতা।
এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব সহ অন্যান্য দফতরের সচিবরা। অর্থনৈতিক করিডর থেকে শুরু করে রাজ্যে শিল্পে বিভিন্ন বিনিয়োগের কথা এদিন ঘোষণা করেছেন তিনি। শিল্পের উন্নয়নে একাধিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে চেম্বার অফ কমার্সকে শরিক করা হবে। মুম্বইয়ে শিল্প সম্মেলনের প্রচারের দায়িত্বে ফিকি, চেন্নাইয়ের দায়িত্বে সিআইআই, দিল্লির দায়িত্বে অমিত মিত্র, কর্ণাটকের দায়িত্বে ইন্ডিয়ান চেম্বার্স, রাজস্থানের দায়িত্বে উমেশ-হর্ষারুদ্ররা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ডাটা সেন্টার হিসাবে উঠে আসছে বাংলা। লজিস্টিক হাব তৈরি হচ্ছে। ফ্লিপকার্ট এসেছে কল্যাণীতে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। আমাজনের সাতটা লজিস্টিক হাব আছে। ১২ হাজার লোক কাজ করছে। আগামী দিনে আরও কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে।

মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ৮ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে জোর করে জমি অধিগ্রহণের পক্ষে নয় সরকার। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১ লক্ষ ১৪ হাজার লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেবে রাজ্য সরকার। এই ক্ষেত্রে ৪১ লক্ষ নয়া কর্মসংস্থান হবে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কলকাতায় তাঁদের শাখা অফিস করছে। ২১ তারিখ মউ স্বাক্ষরিত হবে। বণিক সভার সকলকে থাকতে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। যেখানে প্রায় ৩০ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছে মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দু’টো ওয়াগন কারখানা এসেছে বাংলায়। সেখানেও আগামী দিনে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান হয়েছে। টাটানগর ফ্যাক্টরি বন্ধ করে টাটা হিতাচি খড়গপুরে আসছে। মালদহ, বালুরঘাট, কোচবিহারে এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সবরকমের চেষ্টা হচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি এখন থেকেই, রাজ্যে বিপুল বিনিয়োগের কথা ঘোষণা

এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, দেউচায় খনির কাজ শুরু হবে এবছরেই। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেউচার কয়লাখনির কয়লা অত্যন্ত মূল্যবান। একইসঙ্গে আরও একবার পোস্ত নিয়েও প্রশ্ন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন আমরা পোস্ত বাইরে থেকে বেশি টাকা দিয়ে কিনে খাব? এখানকার কৃষকেরা এই চাষ করতে চায়। বাংলার ডেয়ারি ভাল চলছে, ভাল চলবেও। আমি চাইছি ফ্র্যাঞ্চাইজি দিতে। তাহলে ব্লকে ব্লকে ব্যবসা হতে পারে। আমরা জায়গা দেব, দোকান দেব।