অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): শোভন বৈশাখীর অন্তরঙ্গ প্রেমালাপ নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখার প্রয়োজন হতনা যদিনা অনেকে নজরবন্দির ‘শোভন – বৈশাখী সিরিজ’ নিয়ে একাধিক মন্তব্য করতেন। আমাদের বহু পাঠক প্রশ্ন তুলেছেন, নজরবন্দি কেন সমাজের নিকৃষ্টতম দুই পুরুষ এবং মহিলা কে নিয়ে লাগাতার প্রতিবেদন প্রকাশ করছে? অনেকের কথায়, শোভন বৈশাখীর খবর গুলো সমাজ কে কলুষিত করছে। এদের নিয়ে প্রতিবেদন বন্ধ করা হোক। মিডিয়া এদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুক। পাঠকের এই সব কিছুর উত্তর দেওয়ার চেষ্টাতেই আমার এই লেখনী।
আরও পড়ুনঃ রোমিও জুলিয়েট, লায়লা মজনুকে ছাপিয়ে গিয়েছে শোভন বৈশাখীর প্রেম, পড়ুন সব আপডেট।
শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় পরকীয়া করছেন। অনেকে বলছেন বেশ করছেন আবার অনেকের মত সমাজ কে দূষিত করছেন এঁরা। আর আমাদের মত, শোভন বৈশাখী আসলে জনগনের খোরাক। এদের পরকীয়া সমাজ কে যতনা দূষিত করছে, গত কয়েক বছরে, তাঁর থেকে আমাদের বাংলা অনেক বেশি দূষিত হয়েছে রাজনৈতিক কারনে। দলীয় ভেদাভেদে মানুষ হাসতে ভুলে গেছেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে শোভন বৈশাখীর মত কৌতুকের বস্ত বাঙালি আর পায়নি। এদের কীর্তিকলাপ দেখে, গালাগাল আর নিন্দামন্দ করার মাঝে কখন যে পাঠকের ঠোঁটের কোনে হাসি চলে আসে অজান্তেই তা তিনি নিজেই হয়ত জানেন না। কিছুটা হতাশ জীবনে আশার আলোর মত আরকি।
যে লক্ষ লক্ষ মানুষ শোভন বৈশাখীর খবর পড়ে ভিডিও দেখে মজা পাচ্ছেন তাঁরাও এই সমাজেরই অংশ। তাই শোভন বৈশাখী সিরিজ চলবে, আসলে ওঁরা যতদিন চালাবেন আরকি। একটু ভেবে বলুন কতটা লজ্জাহীন হলে ক্যামেরার সামনে এমন পরকীয়া করা যায়। প্রভাবশালী তোয়ালে খ্যাত শোভন আর তাঁর প্রেমিকা অবলীলায় একেরপর এক নষ্টামি করে চলেছেন ক্যামেরার সামনে। অনেকে বলবেন এদের কি লজ্জা নেই? আমার উত্তর, না নেই। আসলে এঁরা দুজনেই খুব ভাল করে জানেন এঁরা কি করছেন। পেটের খোরাক জোগাতে যেমন অনেকে শরীর বিক্রি করেন, তেমনই ক্যামেরার ফ্রেম আর খবরে থাকতে এঁরা নিজেদের সম্মান বেচে চলেছেন ক্রমাগত। যদিও সম্মান ব্যাপারটা এদের নামের সাথে কতটা যায় সেটা বিতর্কের বিষয়। তবুও একজন অধ্যাপিকা অন্য জন রাজনীতিক, সম্মান তো দিতেই হবে।
শোভন বৈশাখীর অন্তরঙ্গ প্রেমালাপ

শোভন বৈশাখীর অন্তরঙ্গ প্রেমালাপ আর ক্যামেরার ফ্রেম ঠিক কিভাবে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে তাঁর কিছু ফ্ল্যাশব্যাক দেখাই। সম্প্রতি আমাদের মতই একটি খবরের ওয়েবসাইট এই জুটিকে বেছে নেয় পুজোর ফ্যাশনের মডেল হিসেবে। তবে ফ্যাসন জনপ্রিয় হওয়ার আগে ভিডিও ভিউটাই টার্গেট ছিল বেশি। সফল হয় সেই টার্গেট। বৈশাখীর ‘মম চিত্তে’ নাচের সাথে মুদ্রা-সমন্বিত অঙ্গ দোলনের তালে গুণমুগ্ধ শোভনের আবেগতাড়িত করতালি ভালই খেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। বায়ুবেগে শেয়ার আর বিদ্যুৎবেগে ভিউ। মাস দুই খবর থেকে হারিয়ে যাওয়া শোভন বৈশাখী ফিরে আসেন খবর আর মিম এর ট্র্যকে।
মম চিত্তের পর থামেন নি এঁরা। দেখা যায় শোভন-বৈশাখী দোলনায় দুলতে দুলতে কখনও অন্ত্যাক্ষরী খেলেছেন। কখনও পিয়ানো বাজাচ্ছেন আবার কখনও হাত ধরে দ্বৈতকণ্ঠে গান ধরেছেন, ‘কে প্রথম কাছে এসেছি। কে প্রথম ভালবেসেছি।’ আবার কখনও গোলপার্কের বাড়ির গোছানো বৈঠকখানায় হাতে-হাত ধরে অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে নাচ্ছেন। কখনও বৈশাখী সাজগোজ করছেন, আর শোভন পরম যত্নে ঠিকঠাক করে দিচ্ছেন প্রেমিকার কানপাশা। কখনও দু’জনে ভিক্টোরিয়া চত্বরে ঘোড়ায়-টানা ফিটন গাড়িতে চড়ে প্রেম করছেন। কখনও ময়দানে ফুচকা খেয়ে গাইছেন ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুম নে যো দিল কো।’ কখনও শোভনের ঠোঁটে শোনা যাচ্ছে, ‘তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ!’ সর্বশেষ সব লজ্জার মাথা খেয়ে বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুর দান!
একটা সামান্য পরিসংখ্যান বলছি, দুর্গাপুজো আবহে শোভন বৈশাখীর ভিডিও শুধু নজরবন্দির ফেসবুক পেজেই ভিউ হয়েছে ১২ লক্ষের বেশি। এদের নিয়ে লেখা মোট ৬ টি আর্টিক্যাল পড়েছেন প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ইউনিক ইউসার। তাহলেই বুঝুন শুধু নজরবন্দি থেকেই যদি এই যুগল এতটা ভাইরাল হন তাহলে বাংলার সব কটি সংবাদমাধ্যম ধরলে কত মানুষ এদের ভিডিও দেখেছেন এবং এদের নিয়ে লেখা আর্টিক্যাল পড়েছেন! তাই হতাশ জীবনে আশার আলোর মত বেঁচে থাকুক শোভন বৈশাখী, বেঁচে থাকুক এদের লজ্জাহীন ক্যামেরা ফ্রেমের প্রেম। মজা নিন আপনারা, ওরাও! শুধু খারাপ লাগে এদের স্বামী – স্ত্রী এবং সন্তানাদির জন্যে। কতটা প্রভাব পড়ছে তাঁদের মনে, সেটা তাঁরাই জানে। এদিকে কিছুদিন পর হয়তো এই মজা নেওয়া সমাজ বলবে, কতটা নীচে নামলে তবে শোভন বৈশাখী হওয়া যায়।