চোখের সামনে দেখবেন মেহনতি মানুষের ব্রিগেড, গুজরাট থেকে আসছেন শ্রমিক।

চোখের সামনে দেখবেন মেহনতি মানুষের ব্রিগেড, গুজরাট থেকে আসছেন শ্রমিক।
চোখের সামনে দেখবেন মেহনতি মানুষের ব্রিগেড, গুজরাট থেকে আসছেন শ্রমিক।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ চেন ফ্ল্যাগে সাজছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। মঞ্চ বাঁধা শেষের দিকে। দূর থেকে আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। কাল বামেদের আবেগের ব্রিগেড। নির্বাচন হোক বা কোন নতুন শুরু, ‘ব্রিগেড রীতি’ বামেদের বহু পুরনো। এবারও অন্যথা হচ্ছে না তার। ২০১৯ এর পর আবার একবার মেহনতি মানুষদের এক করার লক্ষ্যে মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে।

আরও পড়ুনঃ বহিরাগত নয়, অভিষেক বলছেন বাংলায় ভোট করাবে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী’রা।

আগের প্রতিটা ব্রিগেডের পরি কর্মী সমর্থকদের কথায় ধরা পড়েছে ব্রিগেড শুধু আবেগ নয় ব্রিগেড শ্রদ্ধার। ব্রিগেড আবেগের। এবার এই ব্রিগেডের প্রতি, বামেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সুদূর গুজরাট থেকে কলকাতায় আসছেন মানুষ। কলকাতার গনগনে আঁচ মাথায় নিয়ে সামনে থেকে দেখতে চান সেই সব মানুষদের, যাঁরা আতঙ্কের লকডাউনে মুখের সামনে তুলে ধরেছিলেন খাবার।

শনিবার আহমেদাবাদের বিমানবন্দর থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিক তার একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, বাম দলের প্রতি তার আবেগ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সমর্থনের কথা। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময়ে আমি সুরাটে ছিলাম। সেই সময়ে কোন পরিস্থিতিতে ছিলাম কেউ খবর নেয়নি। একমাত্র সিপিএম দলটি খোঁজখবর নিয়েছে। তারা আমাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে। তাই তাদের বিগ্রেড সমাবেশে যোগ দিতেই আমি কলকাতা যাচ্ছি। সেখান থেকে বাংলাকে তৃণমূল ও বিজেপির মতো দালাল তোলাবাজেদের হাত থেজে রক্ষা করার শপথ নিতে হবে আমাদের। নাহলে গরিব মানুষেরাএবাঁচবে না। তাই আমি বিগ্রেড যাচ্ছি, আপনারা সকলেও আসুন।’ আর কোথাও গিতে তাঁর কথায় ফিরে আসছে বাম কর্মীদের পুরনো স্লোগান ‘দরকারে পাই, সরকারে চাই’ এর বার্তা।

অন্যদিকে বামেদের আরও এক সমর্থক কল্যানির বাসিন্দা বিগ্রেডে সামিল হতে আসছেন, যার একমাত্র সাহারা তার হুইলচেয়ার। এই দুই সমর্থকের মত দুর দুরান্ত থেকে আরও যে কত কর্মী সমর্থকেরা দিন বদলের আশা বুকে নিয়ে বিগ্রেডে উপস্থিত হবেন, সেই সংখ্যাটার সঠিক হিসেব পাওয়া মুশকিল। সভায় উপস্থিত থাকবেন বাম কংগ্রেস নেতৃত্বরা ও তাদের জোট সঙ্গী আব্বাস সিদ্দিকী।