নজরবন্দি ব্যুরোঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড আরো এক বড়োসড়ো তথ্য দন্ত কারীদের হাতে। কিছুদিন আগে এই দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে। তাকে জেরা করেই মিলেছে অনেক তথ্য। কুন্তল কে জেরা করে ইডির দাবি।
আরও পড়ুনঃ ৩০ কোটি টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ, নিয়োগ দুর্নীতিতে মোড় ঘোরাচ্ছে কালো ডায়েরি
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের খসড়া আগে থেকেই জানতেন এই যুবনেতা। তারপর পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার্থীদের পত্র জানিয়ে দিতেন এবং নিতেন তাদের কাছ থেকে মোটা টাকাও। আর কুন্তল ঘোষের এই কর্মকাণ্ড প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি লেহনেই।

আর তার প্রমাণ পেয়েছে ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখেই। অন্যদিকে কুন্তল ঘোষকে জেরার মুখে বার বার তার মুখে উঠে এসেছে চিটফান্ড কর্তা গোপাল দলপতির নাম। কুন্তল দাবি করেছেন গোপাল দলপতি ছিল দুর্নীতির টাকা তোলার প্রধান লোক। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন এই গোপাল দলপতি।
কুন্তল এর আরও দাবি তার কাছ থেকে টাকা গোপাল দলপতির কাছেই গিয়েছে। আর সেই কালো টাকা সাদা করতেই চিটফান্ড সহ একাধিক ব্যবসায়ী লগ্নি করেছেন গোপাল। যদিও এই গোপাল চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন তিহার জেলে। উল্লেখ্য, শুক্রবারও কুন্তলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যা্য়কে তলব করে ইডি।
হুগলির বহু চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে যে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে কুন্তল নিয়েছিলেন, সেই তথ্য্ জেনেছে ইডি। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্রের খসড়ার সূত্র ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যানয়ের সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে ইডির কাছে। ইডির সূত্র জানিয়েছে, অ্যা ডমিট কার্ডের কপি উদ্ধারের পর তিনশোর বেশি চাকরিপ্রার্থীর তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিস্ফোরক তথ্য ED-র হাতে, পার্থর সাথে কথা বলেই পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র পেতেন কুন্তল
বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া ও অন্যাতন্যা জেলার চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়। তদন্ত করে শান্তনুর একটি রেস্তোরাঁর সন্ধানও মিলেছে। সব মিলিয়ে দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। এর শেষ কোথায় সেটাই এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন রাজ্যবাসীর কাছে।