নজরবন্দি ব্যুরোঃ এবার ফের সল্টলেক থেকে মিলল দুর্নীতির খবর। অভিযুক্ত একজন ছাগল ব্যাবসায়ী। আজ পুলিস তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়, এবং সমস্থ প্রমাণসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি সামনে আসতেই বিস্মিত প্রতিবেশী।
আরও পড়ুনঃ জল পানের সঠিক পদ্ধতি না মানলে হতে পারে বড় ক্ষতি, জানুন ঠিক কী ভাবে জল পান করা উচিৎ
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে ঘটনাটি সল্টলেক সেক্টর ফোরের চার নম্বর ভেড়ি সংলগ্ন এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম মোমিন খান তিনি খান সাহেব নামে এলাকায় পরিচিত। সল্টলেকের একটি নতুন ফ্লাটেই কয়েক বছর ধরে থাকতে শুরু করেছেন পঞ্ছম নম্বর ফ্লোরে। গোটা ফ্লাটে একাই থাকতেন তিনি।

প্রতিবেশী সুত্রে খবর মিলিছে যে তিনি খুব একটা বাইরে বেরতেননা, কারোর সাথেই বিশেষ মিশতেননা সারাক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকতো গভীর রাতে তাঁকে অনেকেই বাড়ি ফিরতে দেখেছেন। তাই বিশেষ কিছুই তারা জানত না খান সাহেবের ব্যাপারে, বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ছাগল থাকতো তাই তারা তাঁকে ছাগল ব্যাবসায়ি বলেই চিনতো।

বুধবার বিকেলে এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রায় ১৪ জন আধিকারিক মিলে তাঁর বাড়ি তল্লাশি চালায়। প্রায় বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর তারা তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় পাঁচ কেজির বেশি ব্রাউন সুগার হেরোইন সহ বেশ কিছু নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেন। মাদকদ্রব্য ছাড়াও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু গহনা ও পাওয়া যায় তাঁর বাড়ি থেকে। মোট পাঁচ কোটির ও বেশী জিনিস পাওয়া যায় তাঁর থেকে।
ছাগল ব্যাবসায়ীর বাড়িতে মিলল ৫ কোটি টাকার ব্রাউন সুগার, মিলল প্রচুর সোনা সাথে নগদ পাঁচ লক্ষ টাঁকা
ধৃত খান সাহেবকে বিধান নগর দক্ষিণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সেদিন। তবে কিভাবে এত কোটি টাকার মাদক দ্রব্য ছাগল ব্যাবসায়ির কাছে এল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। এর পেছনে নাকি আর কোন বড় চক্র রয়েছে তাঁর ও খবর পেয়েছে পুলিস তবে তদন্তেও পর সবটা সামনে আসবে। তদন্ত সুত্রে জানা গেছে তার স্ত্রী ও বেআইনি কাজে কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে তিনিও এর সঙ্গে যুক্ত।