নজরবন্দি ব্যুরোঃ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শহিদ মিনার চত্বরে শর্তসাপেক্ষে তৃণমূলের ছাত্র ও যুবদের মিছিলও হতে চলেছে। যেকারণে রয়েছে বিরাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা। কোনভাবেই ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে কোনও আপত্তিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ। তাই আদালতের শর্ত মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে সভাস্থলে। অতীতকে ফিরিয়ে আনতে ডার্ক চকোলেট এবং ফলের রস খেয়ে ধর্না দেবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছেন, অতীতকে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। সেই কারণে ডার্ক চকোলেট, ফলের রস খেয়ে ধর্না দিচ্ছি। এ রাজ্যের কার্মচারীদের কাছ থেকেও কেউ অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন তা বোঝা যাচ্ছে। ১৪ তলা ছেড়ে সরকারি কর্মচারিদের কাছ থেকে কেউ অনুপ্রেরণা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন ধর্না দিতে। তবে জলপান করবেন না তাঁরা। এর আগে ৪২ দিন ধরে অনশন করেছিল আন্দোলনকারীরা। আবার সরকারকে বার্তা দিতে অভিনব অনশন কর্মসূচির ডাক দিলেন তাঁরা।

একইসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের তরফে জানানো হয়েছে, সওয়াল-জবাব পর্বে একটা কথা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, আমাদেরই মধ্যে সিভিল ড্রেসে কিছু লোক ঢোকানো রয়েছে। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আদালতের বাইরে সরকারের উদ্দেশ্যে ডিএ আন্দোলনকারীদের বার্তা, যেভাবে আপনাদের সব বিষয়কে রুখে দিয়েছি আমরা, এটাও সেভাবে রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। আপনারা নিশ্চিত থাকুন। এই মঞ্চ থেকে খবর নিয়েও খুব বেশি কিছু করার নেই। গুপ্তচর রেখেও সরকার কিছু করতে পারবে না।
ডার্ক চকোলেট এবং ফলের রস খেয়ে ধর্না, অভিনব অনশনে ডিএ আন্দোলনকারীরা

অন্যদিকে, বুধবার ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্না ৬২ দিনের মাথায় পড়ল। বুধবার শহিদ মিনারেও চলছে তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি। সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সভায় বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সন্ধ্যেবেলাতেই সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে পুলিশের তরফে। বসানো হয়েছে টিনের দেওয়াল। লাগানো হয়েছে একাধিক সিসিটিভি। সভাস্থলে মোট আটটি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।