নজরবন্দি ব্যুরোঃ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু আইন পাশ হয়ে গেলেও তা এখনও অবধি কার্যকর হয়নি। আগামী নির্বাচনের আগে এনিয়ে বড় প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। গতকাল শাহের দরবারে সিএএ দাবিতে সরব সাংসদরা। ১৭ জন সাংসদের উপস্থিতিতে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
বঙ্গ বিজেপির হাল হকিকত জানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের। কিন্তু শেষ মুহুর্তে সেই বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। পরে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির সদর দফতরের একটি অনুষ্ঠান শেষে বাংলার বিজেপি সাংসদদের সাক্ষাৎ হয় শাহের সঙ্গে, তাঁরই বাসভবনে। সেখানে দ্রুত সিএএ চালুর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সদর্থক বার্তা’ পেয়েছেন বলে দাবি বিজেপি সাংসদদের।

সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিষয়ে রাজ্যের সাংসদদের কথা শোনেন অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে কী করা দরকার? সেবিষয়ে জানতে চান অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশী চা বাগান, আদিবাসী, জনজাতি সম্প্রদায়, মতুয়াদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে।
এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশী ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। জানা গেছে, শরণার্থী সমস্যা নিয়েও বিশদে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনার সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সিএএর দাবিতে সরব হন। একই সুরে সরব হতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন সাংসদকেও। উত্তরে সাংসদদের থেকে ১৫ থেকে ২০ দিনের সময়ে চেয়ে নিয়েছেন শাহ।
শাহের দরবারে সিএএ দাবিতে সরব সাংসদরা, অপেক্ষা করতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একইসঙ্গে সাংসদদের তরফে সাফ বার্তা, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে সিএএ কথা রেখেই মানুষের ভোট আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল গেরুয়া শিবির। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংসদে পাশ হলেও কেন এখনও কার্যকর হচ্ছে না? এই উত্তর দিতে গিয়ে বইড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাঁদেরকে। তাই অবিলম্বে সিএএ কার্যকর করার দাবিতে সরব হচ্ছেন তাঁরা।