নজরবন্দি ব্যুরোঃ গতকালই কলকাতায় এসে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের নব নির্বাচিত রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরাও। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। এদিন রাজ্যপালকে নীল সাদা হাঁড়িতে মিষ্টি উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদের দায়িত্ব সামলেছেন সি ভি আনন্দ বোস। তারও আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবে কাজ করেছেন। কেরলের বিভিন্ন সরকারি দফতরের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জগদীপ ধনকড়ের পর স্থায়ী রাজ্যপাল পদে নির্বাচিত হলেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। মাঝে অস্থায়ী রাজ্যপাল পদে লা গণেশন আসতে শাসক দলের সঙ্গে মিষ্টি মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এমনকি নিজের বাড়ির অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। এখন আবার সিভি বোস রাজ্যপাল পদে নির্বাচিত হতে ঝাঁঝ বাড়াতে চায় বিজেপি।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মিষ্টি খাইয়ে কোনও লাভ নেই। তার থেকে বরং তাঁকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁর পরামর্শ নিয়ে বাংলায় পরিবর্তন আনুক রাজ্য সরকার। সরকার যেন নিয়মনীতির মধ্যে চলে। অবশ্য ধনকড় প্রসঙ্গে বলেন, জমানা পাল্টাতেই থাকে। এটাই গণতন্ত্র, এটাই রাজনীতি ।পরিবর্তন হতেই থাকে কিন্তু পরিবর্তনটা যেন ভালোর দিকে হয়। যদিও এদিন আমন্ত্রিত হলেও রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিয়াক্রী। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, দলবদলু বিধায়কদের আমন্ত্রণের জন্যই উপস্থিত হননি তিনি।
রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস, উপস্থিত অন্যান্য মন্ত্রীরাও

এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেন্দ্রীয় তথায়নুসন্ধান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির সেই দলের দেওয়া রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে ছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তাই সিভি আনন্দ বোসের ওপর আস্থা রাখতে চাইছে বিজেপি।