নজরবন্দি ব্যুরোঃ হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের এক বিধায়কের গাড়ি থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত বাড়ছে রহস্য। এর আগে বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল জানিয়েছিলেন, তাঁকে দলবদলের জন্য ১০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন উঠে এল অন্য তথ্য। সিআইডি সূত্রে দাবি, অভিযোগকারী কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গলকে বছরখানেক আগেও দেওয়া হয়েছিল টাকার টোপ। সিআইডির আধিকারিকরা মনে করছেন, ঝাড়খণ্ডে অনেক আগে থেকেই চলছিল সরকার ফেলার পরিকল্পনা।
আরও পড়ুনঃ Partha Chatterjee: এসি নেই, ‘এখানে কী করে থাকব’, প্রশ্ন করা পার্থর রাত কেমন কাটল জেলে?
কিছুদিন আগেই কলকাতার এক ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালকে আটক করেছে সিআইডি। সিআইডির কাছে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ৩০ জুলাই মহেন্দ্রর কাছে টাকা লেনদেনের বিষয়ে ফোন এসেছিল অন্য রাজ্য থেকে। এই ঘটনায় একাধিক তথ্য উঠে আদতে শুরু করেছে।
ঝাড়খণ্ডের টাকা কাণ্ডের ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল।অভিযোগ ধৃত তিন জন জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিরজির বিধায়ক রাজেশ কাছাপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল তাঁকে দলবদলের জন্য টীপ দিয়েছিলেন। তদন্তকারী অফিসারদের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে তা হল, তিন বিধায়ক ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার জন্য টাকা নিয়েছিল। এতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার যোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি অসম থেকে তাঁরা কলকাতা এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই বিষয়টিকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিন বিধায়ক।মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, যে অভিযোগ উঠে আসছে, তাতে একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। তাহলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কীভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে? সেই কারণ দেখিয়েই রাজ্য গোয়েন্দাদের বদলে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল।
আগে থেকেই চলছিল সরকার ফেলার পরিকল্পনা, অসম নয়, প্রস্তাব এসেছিল অন্য রাজ্য থেকে
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সিআইডির ওপর ভরসা রয়েছে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারবে। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টচার্য বলেন, অভিযুক্ত কখনই তদন্তকারী সংস্থাকে বেছে নিতে পারে না। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য তদন্তভার হস্তান্তরের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।