নজরবন্দি ব্যুরো: গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীষ কোঠারি। একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছিল। অবশেষে শুক্রবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লি হাইকোর্ট। গরু পাচার মামলায় এটিই প্রথম জামিন। গত মার্চ মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
আরও পড়ুন: মোদী সরকার শুধু মন্দির বানায় না, অধিবেশনে চাঁদ-সাফল্য নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিলেন সুকান্ত
গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরই তদন্তে তৎপরতা দেখা যায় গোয়েন্দা সংস্থার। গত মার্চ মাসের ১৪ তারিখ অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীষ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। ১৪ মার্চ মণীষ সহ ১২ জনকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লির তিহাড় জেলেই ঠাঁই হয়েছিল তাঁর। এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তদন্তের স্বার্থে আবেদন খারিজ করে আদালত। শুক্রবার ফের দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। এদিন সব সওয়াল জবাবের শেষে মণীষ কোঠারির জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
এদিন দিল্লি হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে মণীষ কোঠারিকে জামিন দেয়। অন্যদিকে পুজোর সময়ও অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে তিহাড়েই থাকতে হবে। সম্প্রতি তাঁদের জামিনের মামলায় এমনই নির্দেশ বিচারপতির। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে গরু পাচার মামলার শুনানি চলে। গতকাল দিল্লির নিম্ন আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে।
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর আসানসোল জেলে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার আবেদনে বীরভূমের দাপুটে নেতা ‘কেষ্ট’কে তিহাড় জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তাঁকেও দিল্লির কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। কয়েকদিন আগেই এই মামলা দিল্লিতে সরে আসে। বাংলা থেকে যাবতীয় নথিপত্র দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গরুপাচার মামলায় প্রথম জামিন, অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীষ কোঠারির আবেদন মঞ্জুর দিল্লি হাইকোর্টে
