নজরবন্দি ব্যুরো: হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের ব্রেক আপ নম্বর সহ তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেই নিয়োগ নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। কার্যত পুরো প্যানেলটাই বাতিল হওয়ার মুখে পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। গত শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে তৎপর! কালীঘাটের কাকুর যোগসূত্র ধরে আরও ২ জনকে তলব
পরে সেই রায় সংশোধন করে সংখ্যাটি ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে নজিরবিহীন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নজিরবিহীন রায়ের ওপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখা হয় বাকি ক্ষেত্রে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এই মামলায়। বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না মেলে পর্যন্ত চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। তাছাড়াও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে চলতে হবে হবেই বলে জানিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৪-র শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করল পর্ষদ, চাকরি বাঁচবে সবার?
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় নিয়োগ পাওয়া ওই শিক্ষকদের আগামী চার মাসের মধ্যে চাকরি ছাড়তে হবে, এমনটাই জানিয়ে ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর আগে কখনই নিয়োগ দুর্নীতিতে এত বিপুল পরিমাণ বাতিল হয়নি। যার জেরে নতুন করে শোরগোল ছড়িয়েছিল। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা আপাতত ৪ মাস তাঁদের স্কুলে যেতে পারবেন। তবে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুসরণ করে তাঁদের বেতন দেওয়া হবে।