নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত রবিবার ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঘটে চলা সাম্প্রদায়িক অশান্তি নিয়ে লিখিত বিবৃতি জারি করেছিলেন বাম দোসর তথা আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন ‘ অপরাধীদের কোনো ধর্ম হয়না ‘।পাশাপাশি কোরান অবমাননা ও হিন্দু মন্দির ভাঙচুর নিয়ে ও তীব্র প্রতিবাদ শানিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর তাঁর ভূমিকা নিয়ে কমিশনে দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের পূজামণ্ডপে হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা, দাবি সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
আব্বাসের এই বিবৃতি নিয়ে এরপর কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ে মহা জোটের বাকি দুই সদস্য সিপিআইএম ও কংগ্রেস। তবে দাদার বিতর্কিত মন্তব্য কে ঘিরে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে দেখা যায় ইন্ডিয়ান স্যেকুলার ফ্রন্টের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী কে। জানা গিয়েছে , এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে চিঠি লেখেন ভাঙরের এই বিধায়ক। তবে এই বিষয়টিকে কোনমতেই হালকা ভাবে নেয়নি পদ্ম শিবির।
ধর্মীয় আঘাত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি, আব্বাসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ পদ্ম শিবিরের।
গতকাল রাতেই কলকাতা পুলিশের কাছে ১৫৩ এ এবং ২৯৫ এ ধারায় আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তরুনজ্যোতি তিওয়ারি। নিজের ফেসবুক থেকে তিনি লেখেন, ‘ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী, বামফ্রন্টের নতুন সেক্যুলার মুখ (দুষ্টু লোক বাবা বলে) গতকাল ধর থেকে গলা আলাদা করার হুমকি দিয়েছে। হনুমানজীর মূর্তিকে অপমান করেছে, পুলিশ পদক্ষেপ নেবে? আমি একজন হিন্দু এবং আমার কর্তব্য ছিল অভিযোগ করা। আমি করেছি…. দেখি পুলিশ কী করে….’
এদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছে আইএসএফের জোট সঙ্গী সিপিআইএম। তাঁদের ব্যাখ্য, “আব্বাস সিদ্দিকি সংযুক্ত মোর্চায় নেই। উনি একজন ধর্মগুরু। ওনার ভাই বিধায়ক।” যদিও ব্রিগেডে সংযুক্ত মোর্চার প্রধান বক্তা ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকিই।