নজরবন্দি ব্যুরোঃ ডিএ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবারেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বুধবারই ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাঁদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়। আন্দোলনকারীদের জামিনের আবেদন চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে সওয়াল করে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ চলতি মাসে রাজ্যে ধনকড়, স্বাগত জানাবেন বীরবাহা-জ্যোৎস্নারা, লক্ষ্যে ড্যামেজ কন্ট্রোল!

এদিন আদালতের কাছে আন্দোলনকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ অনেক আগেই ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু ছেড়েনি। ডিএ আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে? নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার কী যুক্তি? ডিএ না দেওয়া হোক, অন্তত জামিন দেওয়া হোক।

ডিএ আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের 
ডিএ আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের

একইসঙ্গে এদিন আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে কটাক্ষ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই কথা আদালতের সামনে তুলে ধরেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, হাইকোর্টের কর্মচারীদের আটক রাখার কারণে হাইকোর্টের কাজ আটকে রয়েছে। সোয়াল জবাব শেষ। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, বুধবার দ্রুত সরকারি কর্মচারীদের অবিলম্বে ৩৫ শতাংশ ডিএ বাড়াতে হবে, দ্রুত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী পদে নিযুক্ত করতে হবে। এই সংক্রান্ত একাধিক দাবিকে সামনে রেখে ধর্মতলা থেকে শুরু হয় অভিযান। এই অভিযানে সামিল হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারিদের একাধিক সংগঠন। তখনই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। প্রথমে রানি রাসমণি রোডে মিছিলও আটকানো হয়। ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে চলে মিছিল। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।

ডিএ আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের 

ডিএ আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের 
ডিএ আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের

ধৃত ৪৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীর কাজে বাধা, হিংসা ছড়ানো এবং মহিলা পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি। সহ ৯ টি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃত ৪৭ জনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন জানানো হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩২৩,২৪৭,১৪৮,১৪৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের। দ্রুত নিঃশর্ত জামিনের দাবিতে বৃহস্পতিবার আদালত চত্বর, কলকাতা পুরসভা এবং একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় সরকারি চাকরিজীবীদের একাধিক সংগঠন।