প্রত্যেক রাজ্যবাসির অ্যান্টিজেন টেস্ট! মাস্ক না পরলে মোটা ফাইন।

প্রত্যেক রাজ্যবাসির অ্যান্টিজেন টেস্ট! মাস্ক না পরলে মোটা ফাইন।

অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): প্রত্যেক রাজ্যবাসির অ্যান্টিজেন টেস্ট! মাস্ক না পরলে মোটা ফাইন। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যে অনেক কিছু করছেন এই করোনার আবহে কিন্তু আপনি বরাবরর মতই সবার থেকে আলাদা। জানি আপনার ভয়ডর নেই কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কোভিড পরিস্থিতির শুরুতে যেভাবে চষে ফেলছেন বিভিন্ন এলাকা তা আর কজন পারে!

আরও পড়ুনঃ নাবালিক উদ্ধার করে ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পুলিশ কর্মী সহ মৃত ৪।

আপনি নিজে বাদ দিয়ে রাজ্যে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই আর এসএফআই ছাড়া রাস্তায় আর কাদের দেখা যাচ্ছে! আপনার নিজের দলের এমপি, এমএলএ রা সবাই ভাত ঘুম দিচ্ছেন! এক আধ জন যে কাজ করছেন তাঁরা আবার নিজেদের প্রচার নিয়েই ব্যাস্ত। গরীব কে সামান্য খাদ্য সাহায্য তাতেই সেঁটে দিয়েছেন নিজের মুখ, মাননীয়া অর্পিতা ঘোষ।

এদের লজ্জা নেই, ন্যুনতম বোধ নেই কখন কি করতে হয়। এরা আপনাকে দেখে শেখেনা কেন বুঝিনা। যাই হোক প্রসঙ্গ ঘুরে যাচ্ছে, স্বল্প সাধ্যে রাজ্যবাসীর জন্যে একাধিক প্যাকেজ করেছেন যা সত্যিই এই সময় একান্ত দরকারি ছিল। অসাধারন ভাবে বিরোধী দল গুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, সবই রাজ্যবাসীর হিতের জন্যে। শুরুর দিকে কঠোর ভাবে লক ডাউন পালন করতে বাধ্য করিয়েছেন পুলিশ দিয়ে, যদিও কোথাও কোথাও পুলিশ কারন ছাড়াই হাতের সুখ করছে নিরীহ আতঙ্কগ্রস্ত জনগন কে পিটিয়ে। কিন্তু সবাই সমান নয়, রাজ্য একাধিক জায়গায় দেখছে পুলিশের মানবিক মুখ।

সব কিছুর পেছনেই আপনি, নিয়ন্ত্রন আপনার হাতে। কিছুদিন আগে ব্যাক্তিগত ওয়ালে আপনার সমালোচনা করে লিখেছিলাম। কেউ নিজের নাম নিয়ে নিজেকে প্রজেক্ট করতে পারে? প্রসঙ্গ ছিল “বাংলার গর্ব মমতা”! আজ বলছি, সাধারনের খাওয়া দাওয়া পথ্য সুরক্ষিত করার পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে অ্যান্টিজেন আর অ্যান্টিবডি টেস্ট করান বাড়িতে বাড়িতে, একজনও যেন বাদ না পড়ে।

প্রত্যেক রাজ্যবাসির অ্যান্টিজেন টেস্ট! মাস্ক না পরলে মোটা ফাইন। সময় নেই, পুজোর মধ্যেই রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের টেস্ট করা সম্ভব। আপনার সংবিধানে না বলে কিছু আছে কি? পারবেন আপনি, জনগন সাথে থাকবে। পাশাপাশি রাজ্যের সবার কথা ভেবেই কঠোরভাবে বাধ্যতামূলক করেদিন মাস্ক পরাকে, যে না পরবে মোটা অঙ্কের ফাইন। আপনার পুলিশ, সিভিক বা আশা কর্মীর ফৌজ তো আছেই! শুভেচ্ছা রইল এখন থেকেই, বাংলা কে ১০০% সুরক্ষিত করে দিন পুজোর আগেই। হয়ে উঠুন প্রকৃত অর্থে “বাংলার গর্ব মমতা।”