নজরবন্দি ব্যুরো: এখনও কাটেনি জমি বিতর্কের রেশ! অমর্ত্য সেনের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের মাঝেই ফের বিতর্কের শিরোনামে বিশ্বভারতী! এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লাগাতার কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন এক ছাত্রী।
আরও পড়ুন: Coromandel Express: সিগন্যালের ত্রুটিই কারণেই দুর্ঘটনা! প্রাথমিক তদন্তে দাবি রেলের
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে শিক্ষা বিভাগে গবেষণা শুধু করেন ওই ছাত্রী। তারপর থেকেই লাগাতার ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ বি, ৩৫৪ ডি, ৫০৬, ৫০৯, ৩৭৬, ৫১১, ৫০০ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
ওই ছাত্রী অভিযোগ করে জানিয়েছে যে, গবেষণাপত্রে সাক্ষর করার নাম করে সহবাসের চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপক। এরপরেই এই ঘটনার কথা জানিয়ে বিভাগীয় প্রধান-সহ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ জমা পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাখা কমিটিতেও। কিন্তু তাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে এই ঘটনায় শান্তিনিকেতন থানার দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রী। সেখানেই ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। আর নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে উত্তরবঙ্গের এক কলেজের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন ওই নির্যাতিতা। পাশাপাশি চলছে তাঁর গবেষণার কাজও। কিন্তু এদিকে প্রশ্ন উঠছে যে, কেন বিশ্বভারতীতে অভিযোগ জমা পড়ার পরেও কোনও পদক্ষেপ নিল না কর্তৃপক্ষ? যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক।