নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা না হলেও এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সমস্ত দলগুলির মধ্যে। তাই এবারেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়নে জমা দিতে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস। শনিবার কেশপুরের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের বড় বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, মনোনয়ন জমা না দিতে পারলে আমি ব্যবস্থা করব।
আরও পড়ুনঃ Abhishek Banerjee: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মুখ হসিরুদ্দিন-মঞ্জুদেবীরা, স্পষ্ট জানালেন অভিষেক
এদিন অভিষেক বলেন, বিরোধীরা এখন থেকেই বলছে আমাদের মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হবেনা। আমি বিজেপি এবং সিপিএমকে এখন থেকে বলব গলাগলি না করে একা লড়ুন। সমবায় আপনারা দেখেছেন রাম-বাম ভোটে। তাও তৃণমূলকে হারাতে পারেনি। আর এখানেও এক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিপিএম হার্মাদ, বিজেপির জল্লাদ আর কংগ্রেসের উন্মাদকে বলে যাবো, একডাকে অভিষেক নম্বর রাখুন। মনোনয়ন জমা না করতে পারলে আমাকে বলবেন। আমি এসে জমা করিয়ে দিয়ে যাবো। মনোনয়ন করার দায়িত্ব আমার। কিন্তু প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটা এখন থেকে শুরু করুন। বাংলায় তো ৭০ হাজার আসনে প্রার্থী কোথায়? তৃণমূলের লোকেরা তো পদ্মফুল এবং কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নে দাঁড়াতে পারবে না। গায়ে লাগবে। সুতরাং যদি কারোর অসুবিধে হয়, আমি নিজের দায়িত্ব নিয়ে মনোনয়ন করাবো।
মনোনয়ন জমা না দিতে পারলে আমি ব্যবস্থা করব, জানালেন অভিষেক

একইসঙ্গে এদিন অভিষেককে বলতে শোনা যায়, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। লাল জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সেই কালো দিন, সেই সন্ত্রাস, সেই গা জোয়ারি, সেই বোম বন্দুকের রাজনীতি আবার কেশপুরে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। যারা কেশপুরের রাজনীতি করেন, আপনারা তাঁদেরকে চেনেন কে সিপিএমের, কে তৃণমূলের, কে বিজেপির। কে মানুষের পাশে ছিল? কে ছিল না? আর যারা ভাবছে যে জামা পাল্টে তৃণমূল হয়ে, মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াব। সেটা হতে দেবো না।