SSC-TET Scam: বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা, আতশকাচের তলায় ২৩ হাজারের ভাগ্য

SSC-TET Scam: বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা, আতশকাচের তলায় ২৩ হাজারের ভাগ্য
calcutta high court order on ssc tet scam

নজরবন্দি ব্যুরোঃ সাত মাসের বেশী সময় ধরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক জট খুলতে শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। এজলাস বদল হতেই দুর্নীতির নয়া ছবি ধরা পড়ল আদালতে। যা দেখে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুধুমাত্র একজন, দু’জন নয়, নিয়োগ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে ২৩ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যার ফলে বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুনঃ Partha Chaterjee: আর কত সময় লাগবে? এবার ধর্না দিতে হবে, বক্তব্য পার্থর আইনজীবীর

২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটিমাত্র পরীক্ষা হয়েছে। কয়েক দফায় মোট নিয়োগ হয়েছে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের। যার মধ্যে নবম ও দশমে নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার। এছাড়াও গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত চাকরি যথাযথ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে এখার জন্য জেলা পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা, কড়া নির্দেশ আদালতের 
বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা, কড়া নির্দেশ আদালতের 

এদিন বিচারপতি বলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যুক্ত না থাকলে এই ধরনের দুর্নীতি হতে পারে না। একজন ভুয়ো শিক্ষক ২-৩ বছর চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন। জেলা স্কুল পরিদর্শকরা না জানলে কীভাবে এটা সম্ভব? বুধবারই সিআইডি ডিআইজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি। এদিন তাঁর উপস্থিতিতে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন বিচারপতি। সিআইডি ডিআইজির নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত হবে।

পাশাপাশি আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। ২০১৬ সাল থেকে যতজন শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছে, সকলের তথ্য যাচাই করা জরুরী বলেই মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলে প্রধানই শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি কয়েক বছর ধরে ভুগোলের শিক্ষক হিসেব কর্মরত রয়েছেন তিনি। এক চাকরি প্রার্থী আরটিআই করে জানতে পারেন ভুগোলের বিষয়ে পরীক্ষা দেননি ওই শিক্ষক। এমনকি তাঁর নামের কোনও সুপারিশ করা হয়নি।

বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা, কড়া নির্দেশ আদালতের 

বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা, কড়া নির্দেশ আদালতের 
বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা, কড়া নির্দেশ আদালতের 

আরটিআই করে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেখা গেছে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয় অরবিন্দ মাইতির নামে আরও এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন ওই ভুগোলের শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি। যা দেখেই হতবাক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।