নজরবন্দি ব্যুরোঃ স্বাস্থ্য দফতরে দ্রুত নিয়োগ শেষ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলে, হেলথ রিক্রুটমেন্ট কমিটিকে স্পেশাল কেয়ার দিয়ে এটা করার জন্য বলা হয়েছে। ডাক্তার, নার্স, প্যাথোলজিকাল কর্মীর প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সচিবকে দ্রুত নিয়োগ শেষ করে ফেলতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Prasenjit Chaterjee: বুধের সকালে ববির বাড়িতে বুম্বা, বাবার পর ছেলেও!
তৃণমূল সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। অথচ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে আম জনতাকে। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহার নিয়ে হাসপাতালগুলিকে কড়া নির্দেশ দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে রাফ অ্যান্ড টাফ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আইনি পথে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সরকারকে পরামর্শ নেবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না হলে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য, অনায়ন্য রাজ্যের চেয়ে বাংলার স্বাথ্য পরিষেবা অনেক ভালো। তাই বাংলার মানূষ যাতে এখানেই চিকিৎসা করেন সেটাই চান তিনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অর্থ বাংলাতেই খরচ করার ব্যাপারে নিয়ম জারি করা হবে। বাংলার বাইরে স্বাস্থ্য সার্থী কার্ড ব্যবহার করে চিকিৎসার সুবিধা নিতে হলে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করা চলবে না।
এমনিতেই বাংলার স্বাথ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করতে রাজি নয় বহু বেসরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালগুলির তরফে জানানো হয়েছে, এত কম খরচে তাঁরা চিকিৎসা করতে নারাজ। কিন্তু রাজ্যের বাইরে গেলে চিকিৎসায় অসুবিধা হবে। তাই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য দফতরে দ্রুত নিয়োগ, বুধবার বড় ঘোষণা

একইসঙ্গে জেলা এবং মহুকুমা হাসপাতালগুলিকে রেফার করারা ক্ষেত্রে আরও সংযত হওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল থাকার পরেও কেন কথায় কথায় রেফার? এই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবিষয়ে বিডিও এবং জেলাশাসকদের কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।