বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, খেঁজুরিতে বাম নাম জপ করছেন শুভেন্দু অধিকারী!
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, খেঁজুরিতে বাম নাম জপ করছেন শুভেন্দু অধিকারী!

শুভজিৎ চক্রবর্তী, নজরবন্দিঃ সিপি(আই)এমের সকলে খারাপ নন। ২০২৩ সাল অনেক বাকি৷ তার আগে আসুন আপনারা একসঙ্গে এই তৃণমূলকে নিমূল করি। ‘হার্মাদ মুক্তি দিবস’ এ সিপি(আই)এমেরই নাম জপ করছেন শুভেন্দু! আবার খেঁজুরির মাটিতে দাঁড়িয়ে? ইতিহাসের সেই ছবির সঙ্গে বাস্তবের মিল খু্ঁজতে গিয়ে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের৷

আরও পড়ুনঃ শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকের উপর ওভারলোড, পথে বিচারালয়ে ধুঁকছে শিক্ষার ভবিষ্যৎ! 

২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল নন্দীগ্রামের মাটি তখন আন্দোলনের পৃষ্টভূমি৷ যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও কিছু আনকোরা নেতারা। এই খেঁজুরিতেই বামেদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মশাল জ্বেলেছিলেন সে সময়কার যুব নেতা। থমথমে রাতগুলো আতঙ্কে কেটেছিল। সেই দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ক্ষমতার অলিন্দে আসতে সাহায্য করেছে।

গত এক দশকে হলদি নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। রাজনৈতিক রঙ বদলের খেলায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেলেন শুভেন্দু। লড়াই করলেন আন্দোলনের সতীর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে৷ যুযুধান দুই হেভিওয়েটের মাঝে নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে যেন জায়গা ফিরে পেতে শুরু করল বামেরা। পোড়া, আধভাঙা পার্টি অফিসগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করল। নির্বাচনের ত্রিশঙ্কু লড়াইয়ে মীনাক্ষী মুখার্জি পরাজিত হলেও বুকে যেন বল পেলেন বাম কর্মীরা৷

কিন্তু ফলাফলে শুভেন্দুর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর ঘুরে দাঁড়ানোর ট্রাম্প কার্ড হল রাজ্যে ঘাসফুলের ঝড় বইলেও মমতাকে তিনি পরাজিত করেছেন। কিন্তু রাজ্যের ফলাফলেই কী বিজেপির পরিব্যাপ্তি নির্ধারণ করা সম্ভব? কারণ, ভোটের পরে যারা তৃণমূলে ফিরে ফেলেন, তাঁদের হিসেব কী শুভেন্দুর খাতায় তোলা রয়েছে? অবশ্য বড় মাপের নেতার খাতায় সমস্ত অঙ্কটাই তোলা থাকে৷

বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, খেঁজুরিতে বাম নাম জপ করছেন শুভেন্দু অধিকারী!

বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, খেঁজুরিতে বাম নাম জপ করছেন শুভেন্দু অধিকারী!
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, খেঁজুরিতে বাম নাম জপ করছেন শুভেন্দু অধিকারী!

কিন্তু শুভেন্দুর বাম নাম জপ নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ যদিও রাজনীতি সম্ভবনাময়। এখানে কে কখন কোন পক্ষে থাকে তা বলা কঠিন৷ সময়ের সঙ্গে বদলে যেতে পারে রাজনৈতিক বুলি। শুভেন্দুর ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।