নজরবন্দি ব্যুরোঃ কেন্দ্রের নয়া নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোয়াটস্যাপ। সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত একগুচ্ছ নয়া নিয়ম নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। যে নিয়মগুলি বলবৎ হতে চলেছে আজ বুধবার থেকেই। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই নয়া নিয়ম বা পলিসি গ্রহন না করলে বন্ধ হয়ে যাবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের মতো একাধিক জনপ্রিয় অ্যাপ। এই নিয়ে সংস্থাগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই দ্বন্দ শুরু হয়েছে কেন্দ্রের। তবে কেন্দ্র নিজেদের জায়গা থেকে সরতে নারাজ।
আরও পড়ুনঃ অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস! আশঙ্কায় বন্ধ করা হয়েছে শহরের ৯টি উড়ালপুল।
অন্যদিকে সংস্থাগুলির দাবি নয়া পলিসিতে গ্রাহকদের ব্যাক্তিগত তথ্য ও অন্যান্য জিনিষ আর ব্যাক্তিগত থাকবে না। এই দ্বন্দের ফলে দেশে ফেসবুক টুইটারের মত জনপ্রিয় মাধ্যমগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও শুরু হয়ে যায় গ্রাহকদের মনে। সেই ব্যাপারে এখন কিছু জানানো না হলেও নয়া পলিসি চালুর আগেই এবার এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল মার্ক জুকেরবারগের তিন সংস্থার অন্যতম হোয়াটস্যাপ। কেন্দ্রের নয়া সোশাল মিডিয়া নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল মেসেজিং অ্যাপ সংস্থাটি।
দাবি করা হয়েছে “মেসেজিং অ্যাপে চ্যাট ট্রেস করা হল আমাদের হোয়াটস্যাপে সেন্ড করা প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখতে বলার সমান। এটি করলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বলে আর কিছু থাকবে না। ফলে জনসাধারণের গোপনীয়তার অধিকার বিঘ্নিত হবে।” একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে এই ব্যাপারে সরকার চাইলে আলোচনায় বসতে রাজি। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখাই তাদের লক্ষ্য বলেও জানিয়েছে তারা। যা নয়া পলিসিতে ধাক্কা খাবে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন তথ্যপ্রযুক্তি নীতির মধ্যে একটি নিয়মকে ভারতীয় সংবিধানের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মৌলিক অধিকারের বিরোধী হিসেবে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে।সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জীবনের অধিকারের মতোই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখাও একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।
কেন্দ্রের নয়া নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোয়াটস্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই নতুন নিয়ম মানতে হলে প্রতিটি ব্যবহারকারীর প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখতে হবে। ফলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বলে আর কিছু থাকবে না। এই নিয়ে একই ব্যক্তির মালিকাধীন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এখনও কিছু বলেনি। তবে কেন্দ্রের নয়া নীতি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যেও ছড়িয়েছে ক্ষোভ।