নজরবন্দি ব্যুরোঃ ‘শুভেন্দু দা কে বিজেপিতে স্বাগত!’ শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন একদা সহকর্মী তথা বিজেপি নেতা পিন্টু পাড়ুই । আজ শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, ছেড়েছেন রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা। এখনও তিনি তৃনমূলের বিধায়ক এবং সদস্য। রাজনীতির আঙিনায় প্রশ্ন উঠছে কবে বিজেপি-তে যোগ দেবেন শুভেন্দু? যদি যোগদেন কার হাত ধরে হবে বিজেপিতে তাঁর অভিষেক। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপি তে স্বাগত জানানো শুরু হল গেরুয়া নেতৃত্বের তরফে!
আরও পড়ুনঃ ৭ তারিখ থেকে শুরু ‘২১ এর যুদ্ধ, শুভেন্দু পর্বে ইতি টেনে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী!
শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করার খবরে আপ্লুত বিজেপি-র বহু নেতা কর্মী। কিন্তু এখনও অফিসিয়ালি যোগ দেননি তিনি। তার আগেই তৃণমূলের দোর্দোণ্ডপ্রতাপ নেতাকে দলে স্বাগত জানালেন প্রাক্তন তৃণমুল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা বর্তমান বিজেপি-র রাজ্য যুব মোর্চার বলিষ্ঠ নেতা ও মেদিনীপুরের অবজারভার পিন্টু পাড়ুই। পিন্টু বাবু জানিয়েছেন, “শুভেন্দু দা বিজেপি তে যোগদান করার সাথে সাথেই তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। আমরা তৃণমূলে থাকাকালীন একসাথে বহু আন্দোলন করেছি। কিন্তু পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতায় তৃণমূল ছেড়ে বাংলাকে বাঁচাতে আমি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলাম। আজ শুভেন্দুদাও দেরিতে হলেও নিজের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূল ছাড়ার পথে। শুভেন্দু দা কে বিজেপিতে স্বাগত জানাচ্ছি।”
নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর সব কিছুর পেছনেই কলকাঠি নেড়েছেন মুকুল রায়। যেভাবে নিজে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন ঠিক একই ভাবে শুভেন্দু অধিকারীকেও বিজেপি-তে যোগদান করাতে চলেছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর চলতি মাসের তিরিশ তারিখ অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিজেপি-তে যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত থাকবেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা সূত্রের দাবি শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী পদ দাবি করায় বেঁকে বসেছিল বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষে রফা হয় উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে। নিজের অনুগামীদের জন্যে ৪২ টি আসন দাবি করেছেন শুভেন্দু। যার মধ্যে ১৬ টি আসন রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের। ঝাড়গ্রামের ৪টি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ৮ টি আসন।
শুভেন্দু প্রসঙ্গে কদিন আগে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, তৃণমূলই শুভেন্দুকে বিজেপিতে পাঠিয়ে দেবে। তাঁর কথায়, “আমরা দরজা বড়ো করে খুলে রেখেছি সবাইকে নেওয়ার জন্য। ওনারা যদি কাউকে পাঠিয়ে দেন আমরা দলে নেব। একজন রাজনীতিবিদ রাজনীতি করতে চাইলে বিজেপি সুযোগ দেবে। আমার সঙ্গে অবশ্য কারও কোনো আলোচনা এখনও হয়নি।” আজ দিলীপ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা নয়। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছিল এটা হতই। তিনি বলেন তৃণমূলের শেষের দিন শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূল কোনো ভদ্রলোকের দল নয়। তাই এর আগেও অনেক সাংসদ, বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। তাঁরা যদি দলে আসতে চায় স্বাগত।”
একই প্রসঙ্গে মুকুল রায় মুখ খুলেছিলেন কিছুদিন আগে, তিনি বলেছিলেন “বিজেপি হলো পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আমিও তৃণমূলে ছিলাম। প্রায় সাড়ে তিন বছর হলো বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। কিন্তু দল সম্মান দিয়েছে, কাজ করার সুযোগ দিয়েছে, এই মুহূর্তে আমি দলের সহ সভাপতি। তাই যারা মানুষের উপকার করতে চায় প্রত্যেককেই বিজেপি-তে স্বাগত!”