বিজেপিকে জেতান, ফের বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের আবেদন শুভেন্দু-র!

নজরবন্দি ব্যুরো: বিজেপিকে জেতান, ফের বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের আবেদন শুভেন্দু-র, কেশপুরে গিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কেশপুরে লাগাতার বিজেপির ওপর হামলা হচ্ছে। বিগত ২০১১ সাল থেকে কেশপুরে কোনও উন্নতি হয়নি। তৃণমূল নেত্রী বলছে পচা জিনি বেরিয়ে যাচ্ছে। পচা জিনিস বেরিয়ে যাচ্ছে আপনার পায়ে কাঁটা ফুটছে কেন? এত জালা কেন? নন্দীগ্রাম, কেশপুরের কথা সারা বছর মনে পরে না। কাটমানির পার্টির ভোটের সব মনে পরে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২১-শে নির্বাচন, বাড়ি বাড়ি গিয়েই উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরবে তৃণমূল
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘যে আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিলেন তা কী পূরণ হয়েছে? আমি ২১ বছর ধরে দলে থেকেছি। আমাকে কি বলেছে জানেন? তোলাবাজ ভাইপোর সঙ্গে কাজ করতে হবে। তখন আমি বলি, আমি শুভেন্দু অধিকারি…নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র, কর্মচারী হয়ে থাকতে পারব না, সহকর্মী হয়ে থাকতে পারি। তৃণমূল কাটমানির পার্টি, চোরের পার্টি। এই সরকার এখন টিকা চোর হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী টিকা নেননি, তৃণমূল বিধায়করা টিকা নিচ্ছেন। এখন তৃণমূলের নাম এনামুল। গরু চোর এনামুলের দল। এই লোকগুলো সব ধ্বংস করে দিল। আমফানের ত্রিপল চোর।’
তিনি আরও বলেন, বর্ধমানের ১৫ জন নার্সের টিকা চুরি করে বিধায়করা নিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েত ভোট হবে। ঠিক মতো ভোট হলে এখান থেকে ভারতী ঘোষ জিততেন। এই তৃণমূল মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী চুরি করে যাচ্ছে। যারা শিশুদের জিনিস চুরি করে তাদের রাজ্যে রাখবেন না। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিজেদের নামে চালাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা ভোটও তৃণমূল পাবে না।’ বৃহস্পতিবার কেশপুরের আনন্দপুর থেকে বামেদের নিয়ে শুভেন্দু বলেন, বামপন্থীরা অনেক ভালো কাজ করেছেন। বুদ্ধবাবু সৎ মানুষ, লক্ষ্মণ শেঠরা হার্মাদ। বামেদের সব জমি বেচে খেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানি শিল্পকে শেষ করে দিয়েছে বাংলায়। বাইপাসের ধারে আইটিসি সোনার বাংলা, জেডব্লিউ ম্যারিয়ট এসব নাকি শিল্প। সেই সব জমিও বামেদের দেওয়া। নিউটাউনের সব জমি বামেরা বিলি করেছে।
বিজেপিকে জেতান, ফের বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের আবেদন শুভেন্দু-র, এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, ‘এখানে অনেকেই আছেন, যারা সিপিএম করেন। তাঁরা করুন তাঁদের দল। কিন্তু বিধানসভায় ভোট দিন বিজেপিকে। তাহলেই ন্যায় পাবেন, পঞ্চায়েতে ভোট হবে। বিধানসভা ভোটের পর কংগ্রেস-সিপিএম করুন। এখন বিজেপি করতে হবে। আমরাই পারব তৃণমূলকে সরাতে।’